আমগাছ ঘিরে আজ মৌমাছি ঘুরে,
হতাশায় দিন কাটে ভনভন সুরে।
মধু লোভে করে যায় বারবার ভুল,
ঘুরে দেখে কবে হবে আম্র মুকুল।
ছুটে আসে মৌমাছি আমবাগ পানে,
মাঘ মাস তবু আসে ফাগুনের টানে।
মধুকর মধু নিয়ে ভাবে সদাশয়,
ফাগুনের অপেক্ষা তার নাহি সয়।
আমবাগে ঘুরাঘুরি নয় অকারণ,
প্রাণে আঁকা মুকুলের হবে আগমন।
সুধাময় বসন্তে সুবাসের খনি,
পাতা ঝরে উঠে যাবে মর্মর ধ্বনি।
মুকুলের ঘ্রাণ এনে বসন্ত জাগে,
মন ভুলা বসন্ত ফাগুনের ভাগে।
আমের মুকুল দেখে মনে উঠে সুর,
ভাবনায় চেপে বসে বাসন্তী ঘোর।
রবির আভায় যতো আমবাগ মাখে,
মুকুলের ঘ্রাণ মনে সেই ছবি আঁকে।
গাছ ভরা পাতা নয় মুকুলেই শোভা,
যতো বেশি ফুল আসে তত মনোলোভা।
বাসন্তী ঝড় তুলে আম্র মুকুল,
মৌ মৌ ঘ্রাণে ভরে এ-কূল ও-কূল।
ফাগুন হাওয়া এসে গাছে উঠে দোল,
ছড়া দেখে মনে হয় চামেলি বকুল।
কাঙ্খিত ফাগুনটা নেই বেশি দূর,
আমবাগে উঠে গেলো ভনভন সুর।
বসন্ত কাছাকাছি মৌমাছি জানে,
তাই তো সে ছুটে যায় মুকুলের টানে।
মুকুলের আহ্বানে,
ফাগুনের স্বপ্ন।
কবির কবিতায় মুকুলের টান প্রকৃতির গভীর রহস্যকে উন্মোচন করে, যেখানে মৌমাছিরা মধুর লোভে ছুটে আসে, কিন্তু ফাগুনের আসন্নতার অপেক্ষায় দিন কাটায়। এই কবিতার প্রতিটি স্তবকে মুকুলের আবির্ভাব যেন একটি নতুন জীবনের সূচনা, যেখানে বসন্তের সুর ও মৌমাছির ভনভন সুর একত্রে মিলিত হয়, সৃষ্টি করে এক অমল আনন্দ। প্রকৃতির এই চক্রে প্রেম ও আশা যেন একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা আমাদের হৃদয়ে চিরকালীন প্রভাব ফেলে।
প্রিয় কবি, আপনার এই অসাধারণ কবিতা লেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।