পাড়া গাঁয়ে সেই দিন আজ আর নেই,
জনতার পদভারে কূলহারা খেই।
গাদাগাদা পোলাপান করে খাই খাই,
অতীতের স্মৃতি ছাড়া আর কিছু নাই।

ঘরে ঘরে ভাতে মাছে ছিলো না অভাব,
যতো বেশি খেটে যেতো তত হতো লাভ।
মানুষের সাথে আজ বাড়ে বাড়িঘর,
ক্ষেত কমে কাটে দেখি অভাবে বছর।

গাছপাকা পেঁপে আর বাটা ভরা পান,
খেয়েদেয়ে দাদা-দাদি জুড়ে দিত গান।
গাছে গাছে লটকন ছড়া খেত দোল,
পাকা ফল ছিঁড়ে নিতে করে নাই ভুল।

ক্ষেত ভরা আলু মূলা খেসারির ডাল,
দলবেঁধে তুলে নিয়ে ঘরে দিত টাল।
গাছ থেকে পেড়ে এনে ডাব থেকে পানি,
পিপাসাটা মিটে যেতো যার যতখানি।

তেঁতুল তলায় ভরা গাছ পাকা ফল,
চেয়ে দেখে আলজীভে এসে যেতো জল।
মিষ্টি তেতুল আর লবণের দানা,
হয়ে যেতো মন ভরে চেটেপুটে খানা।

ঝড়ের কবলে পড়ে আম যেতো ঝরে,
প্রীত মন নেচে যেতো কুড়াবার পরে।
বড়ুই তলায় ছুটে গাছে ছুড়ে ঢিল,
খেতে হতো ছুটে আসা বানরের কিল।

সবুজ শ্যামল আর শোভাময় বীথি,
উদাসীন মন থেকে মুছে নাতো স্মৃতি।
আম কলা জামরুল সেইসাথে তাল,
কাঁঠালের ঘ্রাণ নাকে করে গোলমাল।

পুকুরের পাড় ঘেঁষা জাম গাছে বসে,
কালো জাম খেয়ে মুখ লুঙ্গিতে ঘঁষে;
জলে নেমে কেটে যেতো সাঁতারের ভীতি,
মনে পড়ে শুধু আজ মধুময় স্মৃতি।