এই বুঝি লেগে গেলো কুয়াশার ধুম,
মোটামুটি শুরু হলো গেলো রবি সোম।
বুধে কিছু কমে গেলো যেনো এলোকেশী,
শনিবারে দেখা যায় সামান্য বেশি।
শিশিরের দানাগুলো ঊষাকালে উড়ে,
কমবেশি দেখা যায় সারাদেশ জুড়ে।
মাঝপথে হেমন্ত, কার্তিক গেলো,
অঘ্রাণের শুরুতেই হিম ভাব এলো।
বেলা উঠে কুয়াশার ঘোর কেটে যায়,
দিন শেষে রাত হলে মুখ ফিরে চায়।
ঈশানের বায়ু এসে কানে কানে বলে,
শিশিরটা দেখা যাবে ভোররাত হলে।
হেমন্ত ডানা মেলে শীতে টান লাগে,
কম্বল মুড়ি দিতে মনে সাধ জাগে।
হিম হিম ভাব লাগে শিশিরের রাতে,
প্রত্যুষে ছোঁয়া লাগে হেঁটে ফুটপাতে।
নীলাকাশে হিমবায়ু করে ঘুরঘুর,
আরামদায়ক থাকে দিবানিশি ভোর,
শিশিরের ছোঁয়া পেয়ে ফুটে উঠে ফুল,
খালি পায়ে ঘাসে হেঁটে মনে উঠে দোল।
আনমনে দুই চোখ যায় যতোদূর,
উপভোগ করে মন শোভাময় ভোর।
মিনিট কয়েক পরে উঠে যায় রবি,
মন জুড়ে শিশিরটা আঁকে জলছবি।