চাহিদা মাত্র যার এক প্লেট ভাত,
এটাই কী বিনিময় যবনিকাপাত?
এই যদি ছিলো মনে ভাত কেনো দিলে,
অবিরাম লাঠিপেটা শেষ তিলেতিলে।
মুক্ত স্বাধীন দেশে এমনও যে ঘটে,
কলঙ্ক লেপে দিলো বাংলার তটে।
হায়! হায়! মরিহায়! কেনো আছি বেঁচে?
সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ কলঙ্ক সেঁচে।
মানসিক চাপে থাকা সেও যে মানুষ,
অন্তরে রাখা উচিৎ কমবেশি হুশ।
আখেরি জমানা আজ ভয়হীন সাজে,
কেয়ামতের লক্ষ্মণ কথা আর কাজে।
দুনিয়ার শেষদিন বেশিদূর নাই,
হাতে করি লাঠিপেটা মুখে বলি ভাই।
প্রাণঘাতী অপরের বিশ্বাস চায়,
ধ্বংস করে বংশ এগোনোটা দায়।
কান কথা শুনে যারা অকারণে ছুটে,
কারো দেখি বুক-পিঠ কালো ঘুটঘুটে,
সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ এতো অগোছালো,
বন্য প্রাণীও বুঝি তার চেয়ে ভালো।
কাতরিয়ে চোখ দু'টো করে ছলছল,
পিটা খেয়ে মরে যায় চোখে নাই জল।
জগতের অসভ্য মানুষের ভীড়ে,
তোফাজ্জল বুঝে যায় লাভ নাই ফিরে।
দুনিয়ার ধ্বংসলীলা দেখবে না আর,
কে ডাকবে তোফাজ্জল কেউ নাই তার।
একপেট ভাত পেয়ে শতমুখে চেয়ে,
তোফাজ্জল মরে গেলো ভরপেট খেয়ে।