ঝুম বৃষ্টি ধুমধাম অবিরাম টানা,
শরতের শেষে দেখি প্লাবনের হানা।
চারিদিকে বাড়িগুলো জলে থৈ থৈ,
উঠোনের মাঝখানে ঘুরে পুঁটি কই ।
পুকুরের মাছ আজ বাড়িঘর দেখে,
ঘন ঘন লেজ নেড়ে গায়ে রঙ মেখে।
উঠে আসে সিঁড়ি ঘরে গড়াগড়ি খায়,
জলে ভাসা সিঁড়ি ঘর চেয়ে দেখে যায়।
আষাঢ়ের রূপ নিয়ে আশ্বিনটা হাসে,
আকাশের জল ঢেলে উঠে ইতিহাসে।
উঠোনের জলে দেখি কলকল সুর,
বাজ পড়া ডাক শুনে কাটলো না ঘোর।
আষাঢ়ের ঢল আর শ্রাবণের ধারা,
কোনোটাই দেখি নাই হয়ে দিশেহারা।
শরতের শেষে এসে অবশেষে ঢল,
চারিদিকে থৈ থৈ ভাসে সমতল।
পায়ে হাঁটা মেঠো পথে একবুক জল,
মেঠো পথ নিচে ফেলে স্রোতে টলমল।
পথচারী জল ভাঙ্গে মালামাল কাঁধে,
দিন যায় উপবাসে একবার রাঁধে।
দিনে রাতে একটানা বৃষ্টির পর,
ভেসে যায় পথঘাট ভাসে বাড়িঘর।
শরতের শেষে এসে স্ফীত জলরাশি,
বাড়িঘরে হানা দিয়ে কেড়ে নিল হাসি।