শরতের আকাশটা খিলখিল হাসে,
ঘনকালো আকাশের জল নেমে আসে।
বর্ষার ভরা রূপ সোম থেকে শনি,
দিনরাত কানে আসে জল পড়া ধ্বনি।
খরা এসে ভরা ছিলো কাদা নয় ধূলি
হাহাকারে কেঁদেছিলো খালি মাঠগুলি।
ফাটা মাটি চেয়েছিল বর্ষার জল,
ডুবুজলে আজ বলে ছেড়ে যাও তল।
বৃষ্টির টানা জলে ডুবন্ত মাঠ,
কায়াহীন শরতের ভাসা পথঘাট।
আকাশটা ফাঁকা নয় ভরা কালোমেঘ,
ধীরে ধীরে আরো বাড়ে বৃষ্টির বেগ।
বেরসিক মন তুমি আজ কেনো চুপ,
দেখে নাও শরতের বিবর্ণ রূপ।
উড়ে আসা মেঘ থেকে বৃষ্টির হানা,
ঝুম বৃষ্টি দিনরাত আছে একটানা।
শরতের শেষটাও রূপ-রসহীন,
মেঘ দেখে মনে হয় শ্রাবণের দিন।
জমে উঠা এতো জল গড়াগড়ি খায়,
ঢল নেমে শরতের কোল ভেসে যায়।
শরতটা যায় যায় হেমন্ত ডাকে,
আকাশের কালো মেঘ জলছবি আঁকে।
বৃষ্টির ফোঁটাগুলো পড়ে অবিরল,
চারিদিকে ভরে উঠা থৈ থৈ জল।