হাতিয়ায় হাতি নেই মহিষের পাল,
চোখ বুজে সারাদিন টানে মালামাল।
সারি সারি ঝাউগাছ ঘেঁষা উপকূল,
চারিদিকে থৈ থৈ জলে উঠে দোল।

যতোদূর চোখ যায় কূল ঘেঁষা জল,
ছায়াবীথি ভরা দ্বীপ আছে কোলাহল।
এই দ্বীপে জনগণ অতি সাধারণ,
দূর থেকে যারা আসে ভালো হয় মন।

মেঘনার মোহনায় হাতিয়ার শুরু,
সাগরের কূল ঘেঁষে দক্ষিণে পুরো।
জোয়ারের জল এসে চারিদিক ভাসে,
রাত হলে উপকূলে বাতিগুলো হাসে।

আশার ভেলায় চড়ে বাসনারা ঘুরে,
কখনো বা জলে নামে কখনো বা উড়ে।
সূর্যটা জলে ডুবে দেখা দেয় শশী,
সন্ধ্যায় জলে ভাসে লাল বেনারসি।

ভোরে উঠে তীরে গেলে লাগে সুমধুর,
ঢেউ থেকে কানে আসে কী দারুণ সুর।
জোয়ারের জল নেমে বালুচর ভাসে,
রোদ খেতে চর জুড়ে গাঙচিল আসে।

ভাটা পড়া জল নামে প্রতিদিন ভোরে,
ধীরে ধীরে নেমে যায় দ্বীপ থেকে দূরে।
জল যতো নেমে যায় তত হয় নীল,
বালি ঘেরা উপকূল করে ঝিলমিল।

দিনভর ভাটা জলে মন থাকে চুপ,
দিনে নয় রাতে বাড়ে হাতিয়ার রূপ।
ভোর হলে উঠে যায় ঝলমলে রবি,
মন জুড়ে শোভা পায় হাতিয়ার ছবি।