শ্রমজীবী মানুষের দিন কাটে ঘোরে,
কাজ করে দাম নিতে শুরু করে ভোরে।
শীতল বাতাস আর কাদামাটি জল,
ঠাণ্ডায় জমে উঠে রাখে মনোবল।

কুয়াশা না ভারী শীত ভাবনায় নাই,
শ্রমজীবী মনে রাখে তার কাজটাই।
সম্পদের চূড়া নাই আছে ভিটেমাটি,
রুজি আর রোজগার তারটাই খাঁটি।

ভয় নেই ভারী শীত ঘন কুয়াশার,
দিন শেষে মজুরীটা তার দরকার।
খাঁটি মনে পেটে ভাতে কাজ করে যায়,
তাতেই সে খুশি থাকে যত টাকা পায়।

হিম হিম প্রবাহটা যত বেশি বাড়ে,
কাঁপুনির ঝাঁকুনিটা উঠে আসে ঘাড়ে।
কাজ নিয়ে মাঠে যেতে লাগে অসহায়,
গায়ে খাটা মানুষের তবু দিন যায়।

শীত আর কুয়াশাটা চলে পাশাপাশি,
হিম হিম ভাব আর সেইসাথে কাশি।
হাড় কাঁপা কষ্টটা গরীবের বেশি,
মাঠেঘাটে গায়ে খেটে পুরো হয় পেশী।

ঝিরিঝিরি বাতাসটা হয়ে উঠে ভারী,
কেঁপে উঠে কান-মাথা সাথে করোনারি।
বড়ো বেশি আশা নেই একবেলা খানা,
এভাবেই যাবে দিন সব তার জানা।

দিনে আনে দিনে খায় তার নেই দায়,
প্রতিদিন এভাবেই কাজ করে খায়।
ধোঁকা দিয়ে যারা নেয় শতকোটি ঋণ,
তার চেয়ে ভালো যায় গরীবের দিন।