সহনীয় শীতে ঘেরা বাংলার কোল,
শীতে নাচে নানা পাখি নাচে বুলবুল।
কোকিলের ডাক শুনে কেঁপে উঠে কান,
নানা পাখি প্রকৃতির গায় গুণগান।
সরিষার ক্ষেত ভরা শোভাময় ফুল,
সারা গায়ে রঙ লেগে মনে উঠে দোল।
নিরুত্তাপ রোদ আর ঘন কুয়াশায়,
নিস্তেজ রবি দেখে মন ভরে যায়।
ভিজে ভিজে তাজা হয় ঘাস আর ছন,
শিশিরের ছোঁয়া লেগে জেগে উঠে বন।
ফোঁটা ফোঁটা জমা হয় পাতা আর ঘাসে,
জল পেয়ে মন ভরে দূর্বাঘাস হাসে।
পথেঘাটে যেতে হয় কান মাথা ঢেকে,
কুয়াশাটা দিয়ে যায় শীতলতা এঁকে।
জমে উঠা শীত আর কুয়াশার সনে
বয়ে চলা বাতাসটা লাগে কনকনে।
শীত আর কুয়াশাটা করে মাখামাখি,
হিম ভাবে শরীরটা কম্বলে রাখি।
পরিযায়ী পাখিদের কলকাকলীতে,
বিমোচিত মনোভাব প্রীত এই শীতে।
বাংলার রূপ দেখে বিমোহিত মন,
কুয়াশায় গড়ে তুলে মনে আবরণ।
এই মনে বাসা বাঁধে কত ফুল পাখি,
রূপ দেখে জেগে উঠে চিরসুখী আঁখি।