প্রতিদিন যতো লোক করে আগমন,
সোমেশ্বরী তীর ঘেঁষে ঘুরে দেখে বন।
পাহাড়ের টিলা বেয়ে উঠে যাও যদি,
ঝাউবনে শীতলতা পাবে নিরবধি।

টিলার উপর থেকে দেখো মেঘালয়,
নীলাভের ছোঁয়া মনে করো সঞ্চয়।
ঐ পাড়ে মেঘালয় এই পাড়ে টিলা,
মাঝখানে সোমেশ্বরী কত চিলচিলা।

স্বচ্ছ জলের আভা খুব কাছে নদী,
হাঁটু জলে নেমে যাবে কাছে যাও যদি।
সুশীতল হাঁটুজল পদতলে নুড়ি,
মনে চাবে হেঁটে হেঁটে কিছুদূর ঘুরি।

ঝলমলে জল আর পাথরের কণা,
সুধামন ভরে নিতে আসে কত জনা।
জলে নেমে পায়ে হেঁটে ছোট নায়ে উঠে,
দলে দলে লোক দেখো মেঘালয়ে ছুটে।

চকচকে চিনামাটি পাহাড়ের গায়,
পায়ে হেঁটে বিরিশিরি ঘুরে দেখা যায়।
চারিদিকে গাছপালা শ্যামলিমা আঁকা,
এঁকেবেঁকে ছুটে চলা নদীটাও বাঁকা।

এলাকাটা গাড়ো আর উপজাতি ভরা,
নিজ নিজ কাজ নিয়ে করে নড়াচড়া।
সুধামন নিয়ে তুমি কাছাকাছি যাও,
পাড়া জুড়ে মেঠো ঘর ঘুরে দেখো তাও।

আগমন করে তুমি যতোদিন রবে,
নীলগিরি নীলাচল মিছে মনে হবে।
বাড়িগুলো ছায়ানীড় মাটিকাটা সিঁড়ি,
সাদা মনে দাদাগিরি করে বিরিশিরি।