জমিদারি উঠে গেলো বহুদিন আগে,
ইতিহাস ঘেঁটেঘুটে স্মৃতিগুলো জাগে।
কুনোব্যাঙ ধোরাসাপ করে বসবাস,
ক্রমাগত জমিদারি আজ ইতিহাস।

ছিলো যতো জমিদারি বাবুগিরি যতো,
বাইজীর নাচে গানে মুখরিত হতো।
বালাখানা ভরা আছে কুনোব্যাঙ বসে,
পোড়াবাড়ি সেজে আজ ইট খুলে ধসে।

দাস-দাসী খানসামা ছিলো বিচরণ,
আজ দেখি শ্যাওলায় জাগে শিহরণ।
ইট খসা রাণী ঘাট খালি পড়ে আছে,
পুকুরের মজা পানি কানিব্যাঙ নাচে।

চার আনা জমিদারি সুরম্য বাড়ি,
দাস-দাসী আয়াদের ছিলো পাড়াপাড়ি।
অতীতের স্মৃতি গাঁথা কাচারি দালান,
রক্তচোষা গদিতে বসে খেতো পান।

রঙচটা দালানের নেই কোন বীমা,
দেবে গেলো ভবনের মূল পরিসীমা।
ধীরে ধীরে রণমাঠে গড়ে উঠা বন,
জমিদারি স্মৃতিগুলো দেখে জনগণ।

ঘোড়াশালে ঘোড়া নেই হাতিশালে হাতি,
দেয়ালের চাম ধসা ঘরে নেই বাতি।
ফটকে খোদাই করা ধূসরিত বাণী,
রাজবাড়ি পড়ে আছে নেই রাজা-রাণী।