বাবুইয়ের বাসা গড়ে আগডাল ঘিরে,
পাশাপাশি দলবেঁধে থাকে সেই নীড়ে।
দলবেঁধে উড়ে যায় দলবেঁধে আসে,
একসাথে খানা খেতে ওরা ভালোবাসে।

বুননের কারিগর সবাই তা জানি,
মননে খনন করে তার ঘরখানি।
শোভাময় কারুকাজ করে ঘুরে ঘুরে,
তালপাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে তার বাসা মুড়ে।

কারিগরি ছাপ রেখে হয় কি দারুণ,
নিজের বাসায় থাকে এটা তার গুণ।
ঝাঁকে ঝাঁকে একত্রে বাবুইয়ের বাস,
খানাদানা জমানোর নেই অভিলাষ।

মানুষের বাসাবাড়ি বাবুইয়ের মতো
পাশাপাশি গড়ে তুলে বহুতল কতো।
বাবুইয়ের মতো শুধু একতাটা নাই,
অপরের হক মেরে করে খাইখাই।

নিজের বুঝটা বুঝে সুখী হতে চায়,
যত পায় তবু তার হাহুতাশে যায়।
সম্পদের অভিলাষ আজীবন থাকে,
জমানোর ভাবনাটা মনে পুষে রাখে।

বাবুইয়ের মতো যদি মানুষেরা হতো,
সমতায় ফিরে পেতো যত সুখ ততো।
দুনিয়াতে কারো প্রতি থাকতো না ক্ষোভ,
সেইসাথে দূর হতো সম্পদের লোভ।