আবেগের মহারণে যতো অভিলাষ,
আনন্দে জল ঢালে বিষাক্ত শ্বাস।
গণনাও করে নাই তুলে দিয়ে পাল,
সাগরে নামার আগে ভাবনায় খাল।

হাতী পায় মৃদু বল ঢেউ তুলে জল,
বুড়া হাতী খোঁড়া পায়ে হয় বিহ্বল।
বিপদের আঁচ পেয়ে হাঁটু ঘেরে বসে,
জল ব্যাঙ লাফ দিয়ে থাপ্পরটা কষে।

মন জুড়ে রঙ মেখে কতো গান গায়,
বিপদের মুখে পড়ে করে হায়হায়!
চুবানিটা খেয়ে দেখে আয়নায় মুখ,
ছাড়া পেয়ে পরে ভাবে কই গেলো সুখ?

অপাত্রে জল ঢেলে হাসি একগাল,
সাবধানী হুশ নাই ফাঁকা মালামাল।
মশা-মাছি ঘিরে দেয় মরণ কামড়,
জামেলায় পড়ে বলে তুমি নও পর।

সময়ের কাজ তার অসময়ে যায়,
ঢিলেমির প্রতিদান হাতেনাতে পায়।
তেড়ামিতে হুশ গেলে যেমনটা হয়,
ফাঁদে পড়ে চোরকেও বলে মহোদয়।

জল ছাড়া দাঁড় টেনে তার নাই হুশ,
ডুক গিলে স্বাদ পায় যমথিতু কোষ।
দায়ে পড়ে থিতু কোষ পেট ভরে খায়,
উপহাস ঘাড়ে নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়।

হাতি যদি খাদে পড়ে ওজনটা বাড়ে,
বাঁচার আকুতি নিয়ে লেজটুকু নাড়ে।
ওজন এতো ওজন উঠা নাহি যায়,
বাঁচেনা জীবন তবু ফিরে ফিরে চায়।