এক পশলা বৃষ্টি কি যে মধুময়,
সুখের দুয়ার খুলে সুবাতাস বয়।
বৃষ্টিটা নেমে গেলো হাঁকডাকহীন,
মন জুড়ে ঢেউ তুলে করে উদাসীন।
গোসলের সাজে আজ ডালপালা ভারী,
ভেজা গায়ে সেইসাথে বাতাসের ঝাড়ি।
গাছপালা ফিরে পায় নব সজীবতা,
পাতা নেড়ে বলে যায় ইশারায় কথা।
গুনগুন সুর নেই ভ্রমরার শিসে,
চুপ ছিলো ভেজা গায়ে পাপড়িতে মিশে।
বাগানের ফুলগুলো হলো ম্রিয়মাণ,
আচমকা বৃষ্টিটা বিধাতার দান।
জ্যৈষ্ঠের গরমটা শিরে নাও বায়,
অসহ্য তাপদাহ লাগে সারা গায়।
কালো মেঘ ঘিরে আজ আকাশটা ভারী
বৃষ্টির টানা জল অতি দরকারি।
বাহারি ফলের দেখা এই মধুমাসে,
বৃষ্টির জলে রস ভরপুর আসে।
এই মাসে ঢল নেমে যত বেশি জল,
রসে ভরা ফল খেয়ে বাড়ে মনোবল।
কালো মেঘ গলে যদি বৃষ্টিটা হয়,
সেইসাথে দূর হয় গরমের ভয়।
আরামের ছোঁয়া দেয় রোদ লাগা আঁচে,
জ্যৈষ্ঠের খরা থেকে জীবনটা বাঁচে।
কড়া রোদে এই মাসে দিনগুলো চড়া,
জল ছাড়া চারিদিকে খাল বিল মরা।
গরমের হাহুতাশে ঘুরপাক খাই,
আকাশের মেঘ থেকে আরো জল চাই।