নিকুঞ্জ গাঁয়ে আছে ছোট এক নদী,
চৈতালী ভাব পাবে নেমে যাও যদি।
যতদূর চোখ যায় দেখি নদীখানি,
দুই ধারে ঢালু পাড় মাঝে হাঁটুপানি।
জলপান করে আসে মহিষের পাল,
তীরে উঠে মেঠোপথে টানে মালামাল।
ছোট ছোট ছেলেমেয়ে পার হয়ে যায়,
হাঁটুজলে পায়ে হেঁটে ভারী মজা পায়।
বসন্তে মরা নদী মনে হয় খাল,
মন ভরে দেখে যাই চৈতালী হাল।
এক পাড়ে মেঠোপথ বিপরীতে খোলা,
সরুপথে হেঁটে গেলে মনে লাগে দোলা।
তীর ঘেঁষা জল নাই তবু যাই ছুটে,
যতটুকু রূপ রস সব নেই লুটে।
বাংলায় কথা বলি বাংলায় গাই,
কাছে গিয়ে তীরে বসে মন ভরে যাই।
নদী তীরে যারা আসে বসে পড়ে ঘাসে,
শোভাময় রূপ দেখে তাকে ভালোবাসে।
এই দিনে হাঁটুজলে নেই গতি ধারা,
তীর থেকে উঠে যেতে নেই কারো তাড়া।
চৈতী হাওয়া এসে মনে সারা জাগে,
জলাধার ঘেঁসে বসে সুমধুর লাগে।
বাংলার যতো রূপ হৃদয়ের মাঝে,
মন ভরে সুর দিতে বাঁশরিয়া সাজে।
গাঁয়ে এসে দেখে যাও বাংলার রূপ,
আনন্দ যদি চাও তবে কেনো চুপ?
মা-মাটির মায়াটান তুমি যদি চাও,
আমাদের ছোট নদী এসে দেখে যাও।