খুকি বলে---------------------
দেখছ আমার বাহিরের রূপ, সৌন্দর্য, মনোজ্ঞতার ছায়া
ভেতরে মর্মের মরিচার বসবাস; মরুভূমির আবছায়া,
সেখানটা খাঁ খাঁ করছে শুধু তোমার মন্দিরে ঠাঁই পাওয়ার-
তবে মনের মরুৎপথ বন্ধ করে দিলে কিছু চাওয়ার।’
বাহ্! খুকি ভালোই বলতে পারো-
নিজেকে নিরঞ্জন ভেবে অন্যকে দোষে ফেলেই মারো,
বুঝি মুখখানাকে মুদ্রাযন্ত্রে পরিণত করেছ!
নাকি নিজ দোষ ঢাকতে অন্যকে মুখস্রাব মারতে শিখেছ?
আমার কি দোষ ছিল বল? তোমার বাবা করেছে সব লন্ডভন্ড
গরীব বলে মেনে না নিয়ে এ হৃদয়কে করেছে খন্ডখন্ড।
নিষ্পাপ ছেলের ন্যায় চক্ষুজ্বলে ঘর হতে বেরিয়েছি প্রতিবাদহীন
প্রতিশোধের নেশা বসবাস করলেও পরিশেষে তা যেন দ্বিধাহীন।
কারণ তখন তুমি আমার ছিলে না, বাবার পক্ষেই ছিলে বেশী
আসার কথা থাকলেও আসনি, ধূর্ততায় ভেঙ্গেছ মনের শাসি।
হতাশ হয়নি বহুকাল অপেক্ষায় ছিলাম; তুমি আসবে এ বুকে ফিরে,
কিন্তু তোমার বাবার বন্ধিজালের শিকার হয়ে যাইতো অচিনপুরে।
হয়ত জিজ্ঞাবে কোন সে অচিনপুর! কোন সে ঠিকানা?
আক্ষেপ করো না, ঐ যে চৌদ্দ শিখের বিশাল আস্তানা।
থাকতে হয়নি তো! পাঁচ বছরের মাথায় ছাড়া ফেলাম গত পরশ্ব দিন,
ভাগ্যিস তোমার সাথে দেখা! তবে দুর্ভাগ্য ফিরে আসবে না সুদিন।
এমনি সময় খুকির দু’ চোখের অশ্রু গড়িয়ে পড়ে মাটিতে,
আর বলে, শোন মদন! বাবা আমাকেও রেখেছে বন্দী ঘাঁটিতে।
ভুল বুঝেছি তোমায় কেন আসনি, রক্ষা করতে আমায়?
তবুও ভেবেছি তুমি আসবে ফিরে সিংহ বলির ন্যায়।
মদন খুকির স্মৃতির কোটায় নড়ে বসল কম্পনহীন কড়া
খুকির স্বামী এল বাড়ি তাই চারিদিকে পড়ল সাড়া।
ঘরে ঢুকেই খুকির স্বামীর পড়ল চোখ মদনের দিকে,
অট্টহাসিতে পড়ল ফেটে মদনকে কাছে দেখে।
(চলবে)