নিলয়ের পাদদেশে কে যেনো আজ মেরেছে উকি?
আখিঁ মেলে তাকিয়ে দেখে নিরাভরণ খুঁকি।
ঈর্ষা-দুঃখ-ক্ষোভে ফেঁটে ঘোমটায় মাথা ঢাকছে,
আর চেয়ে চেয়ে দেখে আবেগী মনে কাঁদছে।
খুকি বলে,“হয়েছতো মোটা সোটা অনেক বড়!
আমাকে একেলা ফেলে কোন নেশায় করেছ ষড়?
আছে কি মনে? সদাশয় সদালাপ করতে যখন-    
ঐ বুকে মাথা রেখে চলে যেতাম স্বর্গের ভূবন”।
এরপর মর্মর ন্যায় চলতে লাগল কথার শ্রোতধারা-
মুগ্ধ আবেশে শুনল অভিযোগ নিরত্যয় বেচারা।
হেসে হেসে মদন বলে,“ আছ কেমন তুমি তোমার বোন?
আর পুরোনো কথা কেন তুলে জ্বালাচ্ছো বুকে আগুন?  
খুকি চক্ষু জলে বলে....................................
এখন জানি তোমার কাছে পুরনো সব গল্পের মতোন;  
মনে পড়ে যখন পিশাচের ন্যায় করেছ জ্বালাতোন!
ভুলে গেছো কোন সীমান্তিনীর উষ্ণ ভালোবাসায়?
আমি অভাগিনীর লোকযাত্রা যাচ্ছে ক্ষীন্ন নিরাশায়।
মদন দাঁড়িয়ে বলে..........................................
কেন? আছতো সুখে! কি নেই এ ঘরে? যা থাকার সবই আছে,
ঘর জুড়ে আসবাবপত্র, ইটেঁর গাঁথুনিতে দালানের কারুকার্য
গলায় সোনার হার, হাতে চুড়ি, পায়ে নূপুর, নাকে নলক
আর মুখ ভরা হাসির রেখা বারবার করে যেন অপলক।
(চলবে)