হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকলি যে ধাঁচে
খোদার কাছে সেতো মানুষ রূপে আছে।
এসো ব্রহ্মান্ডে! ধর্মের এ রেষারেষি কাটি
পথেরি পথিক হয়ে এক সঙ্গে হাটি।
ধর্মে ধর্মে যুদ্ধ বেঁধে; হয়েছে কে জয়ী?
মহাদেশ জয় করে হবে মৃত্যুঞ্জয়ী!
সে আশা কেবলি নিরর্থক নিরাশার ফিকির-
তাতে তিমির ছাড়া নেই তব সুখ মিহির।
যে পথে তুমি আমি যাবে বিশ্বজনতা
মূলকর্ম রবে মোদেরি ঠিক সমতা।
সমতায় আছে তবে মানুষের ভালোবাসা-
তাতে বিধবে না কোন দুষ্টের ধোঁয়াসা।
এমনি ভালোবাসা দু’দিনের জন্যই যে নয়-
যুগ-যুগান্তর বহু নবপথ বেয়ে রয়।
সে- যে রয়্যালেটি ন্যায় দেবে; তাঁরি প্রতিদান -
বিশ্বজুড়ে রবে হাজারো অবদান।
এমন প্রতিদানে গড়ে উঠবে কল্যাণী দেশ
যেখানে সে সুশীতল ছায়ায় মাতৃবেশ।
রুদ্র-কঠোর-হিংসা-বিদ্বেষ যাবে চলে ঐ দূর
সত্যযুগে আদলে; বাজবে প্রাণেরি সুর।
দূর-দূরান্ত যতদূর ওদের নয়ন ভেসে যায়-
ওরা মানুষের ভালোবাসারি গান গায়।
যেখানে ধর্ম হয়ে উঠেনা বড় কিছু
সুরের মূর্চনায় আবেগী মাথা নিচু।
কিছু কিছু আজো ধর্ম করে দেখে বড়
মৃত্যু কল নিয়ে দাঁড়িয়ে ওরা জড়ো!
তবে বোঝে কি ধর্ম ওরা? ধর্ম বলে কি?
ছুরির আঘাত রক্ত নিলে হবে নেকি!
যে ধর্ম মানুষের মৃত্যু বলি; বলে কয়ে-
আমি ধিক্কার ছাড়ি তারি কেঁথা পুড়ে।
সমর্থ নাই করো যদি আজ; মৃত্যু বলিদান-
এসো! হাতে হাত রেখে হই প্রতিজ্ঞাবান।