একদা-----------
আনন্দ আভাস গিয়েছে থেমে শোক জলোচ্ছ্বাসে
ঠাঁই নিতে হলো শহর ছেড়ে চরবাটার গাঁয়ে এসে।
দুরারোগ্য ব্যাধি ধরিল পিতার দেহ করিল অচল
দুঃখের বার্তা এসেছে সম্মুখে হাসি খুশি নিষ্ফল।

সোনারি চামচ মুখে নিয়ে জন্ম আপন ভরা সুখ
অভাব করেনি মোরে স্পর্শ ছিলেম সব উন্মুখ।
আজি গাঁয়ের আকাঁবাকা পথে অবিরত চলছি
চেয়ে চেয়ে বনের পাশে গিয়ে দুঃখের কথাই বলছি।

বনের ধারে গিয়ে দেখি হাজারো পাখির সুরের তান-
তবু বিষাদের ঘোরে প্রাণ যায় বলি সর্ব হরিণাম।
দোয়েল- শালিক- টিয়ার দল সান্ত্বনার বাণী ছুঁয়ে বলে-  
কেনো দুঃখ করো? ডোবাও কেন ক্রন্দন আঁখি জলে?

বসেছি  বটবৃক্ষের নীচে সুশীতল ছায়ার খোঁজে,
সে দিল আমায় ছায়ারি সুবাতাস প্রাণেরি মাঝে।
ধীরে ধীরে প্রকৃতি করলো আপন তাতেই দিল ঠাঁই
অতীত স্মৃতি সবকিছু ভুলে সুখ পাখি মনে উড়াই।  

আজ গ্রামান্তরি বেড়াই ছুটে; কেন দেবালয় খুঁজি?
এ- যে মাঠ ঘাট প্রান্ত ছুঁয়ে খেলে সবুজ সমারোহ আজি।  
সন্ধ্যায় পুঁথিরি আসরে জমে উঠে উঠান বারান-  
তাই দেখে দেখে------------------------
প্রত্যহ ভুলেছি সে শহর -বন্দর; গ্রামেতে জুড়ায় মোর প্রাণ।