নিশীতে আজ নাহি চক্ষু ভুজে
ঘুমের ঘরেতে সংকল্পের আওয়াজ জাগে,
মেহনতি মন শ্রেয়স কামনায়
সর্বক্ষণ এক পায়ে দাঁড়া থাকে।
জানো! আমিও এক মেহনতি মানব
মেহনতি আমার ধর্ম ও কর্ম
আর তা যদি হয় তাদের চোখে ঘৃণার পাত্র
তাতে কিচ্ছু আসা যায় না।
আমি তা মেনে নেব খুব সহজে
তবে মানবো না আমি বিহীন অন্য কাউকে।
জানি! ধনীর কাছে কৃষাণের হাসি
বিধ্বংস ক্ষেতের ফসলের ন্যায়
বিদ্রুপ বৈ আর কী বুঝে?
বুঝে কি দিনমুজুরির কষ্টার্জিত আকুতি
চারটি খানি অর্থের আশায় সারা শরীর ভিজে।
চৈত্রের দাবদাহ, মাঘের কনকনে শীত
শ্রাবণের বৃষ্টিধারায়,
অবিরত দিন কাটে তা উপেক্ষা করে মেহনতি মানবের।
মন্থর জীবনের ভালোবাসায়, জাগ্রত হয় কিছু বলার
তা যেন হারিয়ে ফেলে ঘরের কনে অভাবের আগমনে
আর মনেবৃত্তি মনোবিবাদে রূপ নেয় সংগোপনে।
আমি তাদের হয়ে বলছি আর ধিক্কার দিচ্ছি !
ঐ সব অর্থের মোহে পড়ে থাকা জুলুমদার ধনীদের
যারা দিনমজুরির হোক কেড়ে নিয়ে
প্রাসাদ গড়ার স্বপ্ন দেখে আলোকধার বন্ধ রাখে
মেহনতি মানবের।