গরীবের পেটে মেরো না লাথি, দিওনা চপেটাঘাত
পুত্তিকার ন্যায় জীবন তাদের দুঃখই সওগাত।
তবুও এদের হাসিখুশী মেলে মলিন ভরা মুখে
চাট্টিখানি খাবার জুটলে চাহে উৎফলিত চোখে।
ধনী হওয়ার নেই বাসনা দুই নয়নের তরে
মনটি তাদের ভাবুক তরী এদিক ওদিক ঘুরে
ভাবুক তরী চলছে ধরি নিশানাহীন দ্বার
মাজুর মাঝি বইছে বৈঠা যাচ্ছে অচীনপার।
অঘর নিয়ে করছে ঘৃণা, দিচ্ছে অপাবদ
অবোধ ঘেরা জীবন বলে করছে না প্রতিবাদ।
সমাজপতি যাহাই করে মানছে ভৃত্য সয়ে
দু’বেলা অন্ন কপালে জুটলে শ্রম দিয়ে যায় নুয়ে।
কপাল পোড়া মানুষ তারা প্রবল দুঃখ বহে
শক্ত হাতে ভিত্তি গড়ে প্রপঞ্চ প্রবাহে।
বিভূতি গড়েছে বিভু, শুদ্ধ মন্ত্র দিয়ে
সহায় হয়েছে ধনীদের নিকটে সর্বশ্বরে চেয়ে।
সহিংস বাঁধে না বাসা; মনটি খুবই কাঁচা
সচ্চিন্তায় ডুবে থাকে ঢের উন্মুক্ত বাঁচা।
হিম্মত দেখিয়ে চলেনা কভু নেই চাগাড়ে হুংকার
চাকচিক্য গাত্রে করেনা তাদাত্ন্য কুঞ্জ অহংকার।
ধোকড়া বিছিয়ে নিদ্রা যায় ধীরোদাত্ত এ জীবন
প্রাংশু প্রাচুর্যে আকর্ষে বিহীন উদাত্ত যাদের ভূবন।
বিপ্রলব্ধের অপবাদ তবু ছড়িয়েছে দৈন্যদশার মাঝে
বিবক্ষা আজি করছে বিফল চশমখোরের সাজে।
ঘুরে ঘুরে তারা লাঞ্চিত, বঞ্চিত হয় হক!
যাকাত-ফেতরা জালিমের খোঁয়াড়ে বন্দি দ্বারাই ঠক।
সময়-অসময়ে মারছে বুঝি রাজনীতির চাপাকলে
মাথাগুনিয়ে টাকা বানিয়ে ওদের ছেড়ে দেয় ধ্বংসের দলে।
যুগ হতে যুগান্তরে ওরা মরছে ধুকেঁ ধুঁকে
অন্ন তুলে দেয়না কেউ অনাহারের মুখে।
নিকরুণ আজ স্বভাব চেতন হতাদর এ সমাজ
মিষ্টি কথায় তিক্ত ছড়িয়ে অসহায়ত্বে আনল সব্যাজ।
দগ্ধ আগুনে পুড়ছে ওদের শরীরের চারপাশ
তন্নিমিত্ত হয়েছে পিঠ তন্দুর ছড়ায়ে আশপাশ।
উদালায় করে আহ্বান তারা স্রষ্টার মুখ ফিরে
কবে আসবে মানব হিতৈষী জগত জুড়ে ঘিরে।
তিমির ঢাকা আকাশ কবে যাবে তবে সরে
তরুণ বলয় আসবে তেড়ে ধ্বংস করবে তারে।
যে যুগেযুগে দিয়েছে ভৃত্য কষ্ট করছে পথভ্রষ্ট
নেই ক্ষমা নেই! ক্ষমা নেই! ধ্বংসেই হবে আবিষ্ট।