এই নুনের নদী,
বয়ে গেলে শরীরে মিশে যায় লবনাক্ততা
যদি তুমি জানতে গুনগুন।

কখনো ফিরবো বলে শরীর ছেড়ে ফিরে আসি
তোমাদের পাড়ায়। একটা পুরনো পুতুলের গায়
ভর করে চলি।
গুনগুন আমি কিন্তু পুতুল নই!

বিচ্ছিরি একটা সভ্যতা
এই সভ্যতায় সেজেছি অনেকবার অনেকরকম, অন্যরকম!
কখনো পুতুল কিম্বা পুতুলের রঙ!

কখনো আলগোছে পথের পথিক সেজে মাড়িয়ে গেছি দুর্বাপাতার বুক,
কখনো আমিষ কিম্বা নিরামিষাশী হয়ে
চাঁদের সঙ্গে যুক্তি বেঁধেছি- তোমার ওই নীল মুখ!

আমি প্রেমিকও সেজেছি ভন্ড, তাই না?
এই যেমন
আলতা রঙের জামার বোতাম খুলে,
বাসস্টপে দাঁড়িয়ে সিগারেটের গন্ধে চারপাশ করেছি উতলা।
মানুষ হেঁসে হেঁসে গাল দিয়েছে মন্দ
আমি সুখ পেয়ে দুঃখ গিলে বাড়ি ফিরেছি তখন,
তোমাদের বাড়ি!

কতশত ভোরে
কথার বদলে
বুকের উপর বুক পেতেছি তোমার।
তুমি জানতে চাইলে বলেছি সভ্যতা!

এই নুনের নদী গুনগুন
বয়ে গেলে শরীর হয়ে যায় মোমের পুতুল।
আলোর ঝুড়ি হাতের মুঠোয় নিয়ে জাদুকর হয় দেশান্তরী!
যদি তুমি জানতে গুনগুন,
যদি তুমি জানতে!!