সুর্য টা হয়ে মলিন
ধরণী বেদনায় বিলিন
ইব্রাহিম (আঃ) দিল হাক,
ও হে স্ত্রী, নয়ন মনি ইসমাইলকে
আজ সাজিয়ে দাও
সবাই দেখুক হয়ে হতবাক।
স্ত্রীমনে শত প্রশ্ন তবুও নির্বাক
ছেলেকে কোথায় নিবে
কত ভয় হায়,
স্বামীর আদেশ করিতে পালন
মায়ে কষ্ট বুকে চেপে
ছেলেকে সাজায়।
ইব্রাহিম এবার পুত্রকে বলে
ইসমাইল তুমি কি যান?
খোদার কি আহ্বান,
পুত্র বলে নতশিরে, বলুন
খোদার হুকুমে আমি
দিতে প্রস্তুত জান।
নয়নের জল ছেড়ে পিতা
এবার বলেন পুত্রের তরে
আল্লাহ,র ফরমান,
বুকের ধন কলিজার টুকরা
পুত্র আমার - তোমায়
করিতে হইবে কোরবান।
আকাশ কাঁদে বাতাস কাঁদে
জমিন আর গাছ পালা
কাঁদে বেশুমার,
আকাশে বসিয়া দেখেন খোদা
এবার কি করিবে ইব্রাহিম
হুকুমে তাহার।
পিতার কথা শুনিয়া ইসমাইল
বলেন, ও হে পিতা
তবে কেন দেরি আর,
হুকুমে পরোয়ার দেগার
সাধ্য নাহি আমার
রদ করিবার।
ইব্রাহিম তখন দুঃখ ঝেড়ে
বুকে পাষাণ বাধে
হাতে নিল তলোয়ার,
বলিয়া উঠিল পুত্র
পিতা তলয়ারে দাও ধার
কাপড় দিয়ে চোখ বাঁধ আমার।
চোখ বাধিয়া মটিতে শোয়াইয়া
ইব্রাহিম চোখ মুঝে তলোয়ার চালায় ইসমাইলের গলে,
খোদার ইশারায় বেহেস্তি দুম্বা
কোরবানি হলো সেথা
ইসমাইলের স্থলে।
খোদার ইশারা খোদার খেলা
কে বুঝিতে পারে
মাশেক আসে,
চোখ খুলিয়া দেখেন ইব্রাহিম
পুত্র তাহার পাশে দাঁড়িয়ে
মিটি মিটি হাসে।
খোদার বাণী এল এবার
ইব্রাহিমকে বলে খোদা
ও হে বৎস আমার,
খোদার প্রেমের নিশান তুমি
কবুল করেছি আমি
কোরবানি তোমার।
খোদার বাণী শুনিয়া
হাসিল ধরণী
হাসিল সৃষ্টির মাখলুক,
আসমান জমিনে
উঠিল ধ্বনি লাব্বায়েক,
আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক।
১৮/০৮/২০১৮ খ্রিঃ।