০১
যে মেয়েটি আমাকে ভালোবাসে, স্বামীর অবতর্মানে প্রায় ডাকতো বিছানায়। আমিও ভালোবেসিছিলাম, পাগলের মতো। চৈত্র সংক্রান্তিতে তাকে বললাম ‘চলো পালাই’। মেয়েটি অট্টহাসে! বলল, ‘সাততলা ছেড়ে গাছতলা’!
এরপর কেটে গেছে কতোদিন, তার দেখা নেই-কেমন আছে সে? জানা হয়ে উঠে না। সময় আর দেয়নি, জানার সে সময়।
০২
আমাদের প্রথম দূরালাপন, রং নম্বরে। এরপর এগিয়ে আসা সমান তালে। সে অপ্সরী, আমি কাক কালো। প্রথম দেখায় মন্দ লাগলেও-পরে আর বলেনি। দুরন্ত ছন্দে আমাদের এগিয়ে চলা, তাল-লয়-মাত্রা পরিপাটি।
ফাগুনের দ্বি-প্রহর, তার বাড়ির চিলেকোঠায়। মেয়েটি অপরূপা সাঁজে, মন্ত্রমুগ্ধ পাঠক আমি, তাকে পড়ছি… সে ভীত-এই এলো বলে বর!
আমাদের আসা-যাওয়া শতো কানের প্রমিত ধ্বনি। এরপর কেটে যায় কতদিন… তারপর একদিন আগুন লাগা ফাগুনের মধ্য প্রহরে বললাম ‘চলো, দূরে হারাই’। নিরত্তোর মেয়েটি, বললো ‘আসি’।
এরপর আমাদের দেখা হয়েছিলো কালেভদ্রে, বিদ্যুৎ গতীতে। জানা হয় নি মেয়েটি এখন কেমন আছে! তার বর কি আগের মতোই কোমরের বেল্ট ছুড়ে তার দুধ-সাদা পিঠে?
০৩
ভালোবাসায় কাতর মেয়েটি, হতে চেয়েছিল বাঁধ না মানা পাখি। সে মেয়েটি উড়ে আসতে চেয়েছিলো সুদূর হতে, গুড়িয়ে দিয়ে কাটাতার।
এরপর একদিন সে বনে গেলো চুপষে যাওয়া বেলুন! পাগলাটে প্রেমিকের হাজার আকুতিও ছুঁতে পারেনি তার কর্ণকুহ! সে নিশ্চয় ভালো আছে? জানা হয় না আমার, এখনো কি সে জল পিপাসায় কাতর, আগের মতো?
০৪
দুধ সাদা রঙ মেয়েটি, আমাদের দক্ষিণের বাড়িতে বউ হয়ে এসেছেন অর্ধযুগ। স্বামী সোহাগী ছিলেন, দু’দিন!
এরপর কতো জল গড়িয়েছে নদীতে, কখনো আর-সাঁতার কাটা হয় নি তার। ভেসে বেড়ানো হয় নি পাল তোলা নায়, নূপুর বাঁধা হয় নি পায়।
একদিন তার কচি লাউ ডগা হাতে, হাত রেখে বললাম-এসো উজানে হারাই, সীমা ছাড়াই?...আষাঢ়ের জলে সে খলসে হলো, কলকল ধ্বনিতে ছুটে বেড়ালো…