বৃষ্টির নকসা কাটা একটা মেঘে
অষ্টকে ষষ্টকে ভেঙে যাচ্ছে চতুর্দশপদী রাস্তাটা...
যেখানে নিস্তেজ শিকড়ও মৃত্যুতে ঈর্ষান্বিত হয়;
সেখানে আমার একলা ঘরের অন্ধকার কোণটা
আকাশচুম্বী রাতের নিচে বারবার নিয়ে যায় আমায়,
চোখ রেখে চোখে সে আশ্চর্য হয়ে ডেকে যায়...
বলে নরম সবুজ সমুদ্রের গল্প বলো একটা।
কি গল্প বলি সাদা বালুচরে প্রসারিত সেই অন্ধ কোণকে আমি?
হতাশ হৃদয়ে একটা বৃষ্টি নিয়ে এগিয়ে চলেছি আমি,
আর আমার পাশে বোবা পৃথিবী কাঁদছে একাকী জমির বুকে...
ধীর, স্থির, অস্থির স্রোতকে বোবা করে ফেলেছি আমি
নরম সবুজ সমুদ্রের মধ্যে তাদের লুকানোর জন্যে।
নিদ্রাহীন বিশ্রামের সীমারেখা থেকে জীর্ণ শীর্ণ আমার পৌরুষ
পশ্চিমের লাল সূর্যকে অভিশাপেই সাব্যস্ত ভোর থেকে...
মৃত মানুষেরা জেগে যাওয়ার আগে অব্ধি ঘুমায় অগোচরে;
আমার বাতাসের নিঃশ্বাসে শুধু ঝলকায় হত্যার তরোয়াল...
আর খয়েরি রঙের সমভূমিগুলো নির্লজ্জের মত জ্বলে যায় শুধু।
বোবা পৃথিবীর তৃষ্ণার্ত চোখে নরম সবুজ সমুদ্রে যেখানে খেলা করতো
মেঘ আর গবাদি পশু একসাথে, সেখানে নীল জ্ল ছিল সেদিনও...
এখন নুড়ি বালির অপচয়ে ব্যাথা মরে গিয়ে পূর্ণ হয়েছে নদী!
মৃত নীরবতার পরে প্রেম যেন দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঘাসে মুখ গোঁজে;
শিশির পড়েনা আকাশ থেকে আর, ফসলের জন্যে শস্য কোথায় হবে!
জলহীন শহরের চতুর্দশপদী রাস্তায় সরঞ্জামহীন পৃথিবী ডুবে যায়...
নষ্ট হয় ক্ষেত খামার, পচন ধরে বীজে, বেহুদা পথের অষ্টকে ষষ্টকে
তবুও ঈশ্বর তোমার নদী পূর্ণ হোক; সহজ মধ্যস্থতার প্রতিক্রিয়ায়
গভীর ঘুমের থেকে ভেঙে যাওয়া দিনটার সুরে সুর মেলাতে,
ঘরের জানলাটা খুলে আমি অন্ধকার কোণের হাতে কি দেবো তুলে?
যেখানে নিস্তেজ শিকড়ও মৃত্যুতে ঈর্ষান্বিত হয়...
মৃত মানুষেরা জেগে যাওয়ার আগে অব্ধি ঘুমায় অগোচরে...
মৃত নীরবতার পরে প্রেম যেন দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঘাসে মুখ গোঁজে...
নষ্ট হয় ক্ষেত খামার, পচন ধরে বীজে, বেহুদা পথের অষ্টকে ষষ্টকে
ঘরের জানলাটা খুলে আমি অন্ধকার কোণের হাতে কি দেবো তুলে?
বৃষ্টির নকসা কাটা একটা মেঘে
অষ্টকে ষষ্টকে ভেঙে যাচ্ছে চতুর্দশপদী রাস্তাটা...