এই পারেতে চাঁদ উঠেছে সবে ,
ওই পারেতে সূর্যও গেছে ডুবে ,
মাঝখানে এক স্বপ্ন রং মেখে
শুধু সূর্যকমল ষ্টেশন দাঁড়িয়ে আছে ।
পাতা গুলো সব পরছে ঝরে ঝরে ,
পরছে কিন্তু ছুচ্ছে না মাটি টাকে ...
সারাদিনের সূর্য রঙ্গিন ওমে ,
কাটেনি জড়োতা এখনো সবুজ ঘাসের ।
এখন তোমায় একটা বোতলে ভরে
যদি একঝাঁক জোনাকি দিই ধরে ,
পাঁচইএর জংলি নদীতীরে
পারবে কি তুমি চাঁদটাকে জ্বেলে দিতে !
ঘন কুয়াশার সোহাগে এইখানে
মুখ হয়েছে ভার যুবক চাঁদের …
আর তোমার ওখানে শুকনার জঙ্গলে ,
পাঁচই তার প্রতিটা বাঁকে বাঁকে
তারা গুনে চলে ছলছল বুক মাঝে ।
ষ্টেশনে এখনো ট্রেনটা দাঁড়িয়ে আছে ,
যদি বলো তুমি পাঠাতেও পারি কাছে ...
বলে দিও শুধু দীনহীন নদীটাকে
আসবে চাঁদ ঠিকই তারই কাছে ;
সূর্যকমল স্বপ্নের রং ছুঁতে ,
থাকে যেন বসে সে তার নৌকা ঘাটে ।
ছুটছে ট্রেনটা অনেক খানি জোরে ...
অপেক্ষাটা তারও বুক জুড়ে ...
জোনাক পথে অন্ধ সময় ছুটে ,
চাঁদ জ্বালিয়ে তুমিও দেখো তাকে ...
কেমন করে সে তার যুবতী বূকে
ছলছলিয়ে স্বপ্ন আগলে রাখে ।
পাঁচই তার চাঁদের আলোছায়ে
স্বপ্ন-জোনাক বাসর সজিয়ে রাখে !
শুধু একবার তক্ষুনি মনে করে
গোলপাতা ছাওয়া ছোট্টো দাওয়ার ঘরে
একটা প্রদীপ জ্বেলো আমার নামে ,
জানি তোমার স্রোতে আমার আলোও ভাসে ।