জলঢাকার চরে সূর্য অস্ত গেলে
কমলতলির মাঠে তুমি এসে দাঁড়িও একবার ...
আলগা চুলের খোঁপায় একটা করবী গুঁজে,
কপালে সিঁদুর টিপে, কাজল চোখে, পাছাপেড়ে শাড়িতে ...
পাশের বাঁশবনের হাওয়ায়
উড়বে তোমার চুল, শাড়ির আঁচল;
তখন আমার হাতে কিছুটা সময় দিও
ছবি আঁকবার ... একবার।
গোধূলির লাল রঙ ঢেকে দেবো সযতন তুলিতে
রূপালী চাঁদের ফিলিগ্রিতে ... আকাশের ক্যানভাসে
পাশ দিয়ে চলে যাওয়া হাইওয়ের ওপারে
সেই ছবি রেখে দেবো শালেদের মিউজিয়ামে।
বড় শিমুলগুড়ির সতীশ রায় হাটে
আবার যদি মেলা বসে কোনও পূর্ণিমা রাতে,
দু'টাকার লালনীল পুঁতির মালা পড়িয়ে দেবো তাতে ...
শুধু এসে দাঁড়িও একবার কমলতলির মাঠে।
আমিও মানুষ, তুমিও মানুষ ...
শুনেছি সম্প্রদান হয় না সগোত্রে!
তবুও নিয়ম ভেঙে মানুষই নিয়ম গড়ে।
তাই দাঁড়াও এসে একবার ...
শালের জঙ্গল, হাইওয়ে,
জলের হাহাকারে চাতক নদীর চর;
সাক্ষী থাকুক সবাই
সূর্য গিলে খাওয়া জলঢাকার চরে ...
নদীরও বালুচর থাকে,
সাগরের ঢেউ নিয়ে আমি থাকবো সম্প্রদানে ...
শুধু হাতে হাত দিতে চাঁদছায়া ফিলিগ্রিতে
দাঁড়িও একবার তুমি, কমলতলির মাঠে।