ঠাকুরগঞ্জের হাটে এসেছিলো লাল পাছাপেড়ে শাড়িপরা কালো মেয়েটা ।
তার দিঘল চোখের সাগরে উথলানো বুক ভরা ঢেউ ...
আর এখন যেখানে ব্যারেজ হয়েছে ,
সেখানে আগেও বয়ে যেত দুরন্ত মহানন্দা ;
সেই জলের ঢেউয়ে আদুর গা ধুয়ে
উদ্দাম ছেলেটাও এসেছিলো ওই হাটে , ঠাকুরগঞ্জে ...
সে এক লক্ষ্মীবার ছিল ,
পেঁচা ডেকেছিল মাঠে চাঁদের আলোয় ...
যেমন করে ফাঁসিদেওয়ার মাঠে পূর্ণিমা ঝলসে ওঠে ,
তেমনই মেয়েটার আগুন রঙা টিপে
নিকষ কালো আকাশের মত তার মুখখানা রাঙা হয়ে উঠেছিলো ...
জোনাকি আর তারাদের ঝিকিমিকি
ছেলেটার আদুর গায়ের মহানন্দার বালির মত চাঁদের আলোয় চমকে উঠেছিলো ।
সুন্দর কোনও গল্প হতে পারত একটা ।
তবে কোনও গল্পই মলাটে বাঁধা পড়েনি ...
হেমন্তের পাতার মত ঝড়ে গিয়েছিলো সব শব্দেরা ,
ঘোড়ামারার জঙ্গলে সব অশান্ত ঘোড়াদের স্তব্ধতায় !
এখন শুধু কাঁটাতারের ওপাড়ে ঝলসায় চাঁদ নির্জনে ...
আর এই পাড়ে সে আলোয় জ্বলন্ত নিভন্ত বালির কণা
মহানন্দার চড়ে আজও ছেলেটার গায়ে চমকায় চুপিসারে !
তবে এটাও একটা গল্প বটে ;
হাইওয়ের মত বুক পাতা শূন্যতা ঘেরা এও এক গল্প বটে ।
গন্তব্যের খোঁজে শুধু ছুটে চলে শব্দেরা ...
বুক ভরা শূন্যতার ঢেউ মেখে আজও লিউসিপুকুরিতে
কূলকুল শব্দে বয়ে যাওয়া ছোট্ট ঝোড়াটার ধারে
তিরতির করে বাঁশবনের ফাঁক দিয়ে হাওয়া খায় ,
গোবর নিকানো একলা শুকনো উঠোন ...
মাটি কেড়ে নিয়েছে মাটি ,
জল শুষে নিয়েছে জল ,
সাক্ষী কাঁটাতার শুধু ঝলসায় ...
একলা রোদেলা চাঁদের আলোয় ।