শহরটা এখনোও ব্যাস্তই রয়ে গেছে...
শুধু ঝুপ করে কাঁধ ঘেঁষে যখন সন্ধ্যে নেমে আসে,
তোমার কাজল মাখা চোখের মত করে... বুকের মাঝে কিছুটা সময়
লাল থেকে নীল হয়ে যায়; থমকে দাঁড়ায় গঙ্গার আশেপাশে।
শ্বেত সমাধিতে শায়িত শ্বাস একলা সুরেতে দোলে,
ফিরে পাওয়া যায় যা কিছু হারায়, পরে ফিরে পাবো বলে;
তবু যে হাওয়া দমকা দাপটে উড়ায় শুকনো পাপড়ি,
ডাঁটি বা বৃন্ত সব দেখে তাকে গোলাপ বলা যায় কি!
এমনই কিছু গোলাপও হারায়, আসে না ফিরে সে সময়...
তবুও ব্যস্ত, আজও মস্ত শহরসন্ধ্যা লাল থেকে নীল হয়!
শহরের বুকে বহু ব্যাস্ততা এমনই সন্ধ্যা নামিয়ে আনে,
তাই কাজল চোখের কালোতে তোমার শহরও হাঁপিয়ে মরে।
মরতে মরতে শহুরে সময় আনাচে কানাচে খোঁজে...
সমাধি ছাড়িয়ে গোলাপ স্তবকে, কাজল রঙা চোখের গভীরে,
দমকা হাওয়ার দাপটে যেখানে ঝুমকোলতা দোলে,
কবে বুকের পাঁজরে, চোখের কাজলে, তার প্রার্থনা লেখা হবে!