জন্ম তাঁর রহিমগঞ্জের গৃহিণী মা সাফিয়ার কোলে
বরিশালের বাবুগঞ্জে উনিশশো উনপঞ্চাশ সালে।
ছোট থেকেই পড়াশোনায় তিনি ছিলেন বড়ই মনোযোগী
পড়াতে ছেলে কৃষক বাবা মোতালেবের ছিল না সঙ্গতি।
গেলেন তিনি মামার বাড়ি পাতারচরে বয়স সাড়ে তিনে
সেথায় তিনি মাধ্যমিকে করেন পাশ বিভাগ বিজ্ঞানে।
উচ্চ মাধ্যমিক করেন পাশ বরিশালে বি.এম কলেজ থেকে
বিমান বাহিনীতে হয়নি তো স্থান ত্রুটি পড়ল ধরা চোখে।
খেলাধুলায় নইকো শুধু রাজনীতিতে ছিলেন সচেতন
পাঠ করেন লেনিন সহ গুণীজনের রাজনৈতিক দর্শন।
ছিল জানা তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা, ক্ষুদীরামের ফাঁসী
মাষ্টার দা সূর্যসেন, প্রীতিলতা, যাঁদের জীবন সাহসী।
সাতষট্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন তিনি যখন
ক্যাডেট হিসাবে পাক মিলিটারিতে গেলেন তিনি তখন।
ইঞ্জিনিয়ার্স কোর কমিশন লাভ করেন আটষট্টিতে
তারপর নিলেন একাধিক প্রশিক্ষন দক্ষতা বাড়াতে ।
একাত্তরে মাতৃ প্রেমে দেশের তরে ব্যথা জাগল বুকে
খোঁজেন পথ দেশে ফেরার ধুলা দিয়ে পাক সেনাদের চোখে।
দুর্গম পথ খরস্রোতা নদী কিছুই পারিনি দিতে তাঁরে আটকে
চার সঙ্গী সহ ভারতে এলেন বডার টোপকে।
অভ্যর্থনা জানাতে ছুটে এলেন কর্নেল ওসমানী
তাঁদেরকে পেয়ে নব উদ্যম পেল মুক্তিবাহিনী।
রণাঙ্গনে আছে অসাধারণ কৃতিত্বের প্রমাণ তাঁর
পেলেন এবার চাপাই শহর দখল মক্তির ভার।
চোদ্দই ডিসেম্বর ভোরে পার হয়ে মহানন্দা নদী
তাঁরা বিশজনে একে একে দখল নিলেন শত্রুর ঘাঁটি।
শুরু হল পাক বাহিনীর অবিরাম গুলিবর্ষণ
দ্বিধা নেই জাহাঙ্গীরের করতে জীবন বিসর্জন।
জয়ের খুবই কাছাকাছি আর একটি আবস্থান বাকী
এমনি সময় শত্রুর বুলেট ঢুকল তাঁর কপাল ভেদী।
ঢাকা সেনানিবাসের প্রধান ফটকে দেখ তাঁর নাম লেখা
রক্ত দিয়ে এঁকে দিলেন যিনি বাংলার সীমারেখা।