বিদায় বেলা
মোছাম্মৎ সীমা ইসলাম।
জয়পুরহাট।

হঠাৎ  কোন এক সময়,
আজরাইল এসে হাতছানি দিয়ে  বলবে,তোমার সময় শেষ। জীবনকে ঘিরে ছিল যত আয়োজন।
সে দিন সমস্ত আয়োজনের পরিসমাপ্তি ঘটবে।
তখন লাশ হবে আমার নতুন নাম।
থাকবে না আর জীবনের কোন দাম।
তবে গচ্ছিত থাকবে সব উপকরণগুলো।
সেখান থেকে কিছুই নিয়ে যেতে পারবো না।
চলে যেতে হবে খালি হাতে,
সেদিন কেউ যাবে না আমার সাথে।
সব কিছু ফেলে আরামের ঘুম ঘুমাবো।
সেদিন পাখির কলতানে কিংবা  কোন বড় ধরনের শব্দেও
আমার ঘুম ভাঙ্গবে না।
চারিদিকে কান্নার রোল পরবে।
তাতে আমি কোন টেরই পাবো না।
কেউ আর ডেকে ডেকে ঘুম ভাঙ্গানোর চেষ্টাও করবে না।
কেউ আর আদর করে,
ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখার চেষ্টাও করবে না।
যেনো  সেদিন বিদায় দিতে সবার তাড়া থাকবে।
খুব কাছের কোন আপনজনের কাছে
খবরটা পৌঁছতে সেও জিজ্ঞেস  করবে,
লাশটা কখন দাফন হবে?
আমাকে আগলে রাখার জন্য নয় বরং আমাকে  বিদায় দিতে  
সবাই আয়োজন  করবে।
দুনিয়ায়র সমস্ত কিছু  আগের মতই থাকবে।
সেদিন ও এই পৃথিবী  সূর্যের আলোয় আলোকিত থাকবে।
কিন্তু সে আলো আর আমার জীবন ঘর অবদি পৌঁছবেনা।
জ্বলবে না আর জীবন  ঘরের  বাতিটা।
আলোহীন জীবনে নিমে আসবে ঘোর অন্ধকার।
এক নিমিষেই মুছে যাবে ছিল যত পরিচয়।
বুঝবো সেদিন এই দুনিয়ায় আপন কেউ নয়।
একটু কষ্ট  হলে যে, আপন জনেরা
অস্থির স্বরে বলতো তোমার কি খুব  কষ্ট হচ্ছে?
অথচ সে আপন জনেরাই কবরে একা রেখে আসবে।
কখনো কবরে গিয়ে আর বলবে না।
এখানে  থাকতে তোমার  কি খুব  কষ্ট হচ্ছে ?
বিদায় বেলা কতই না করুণ অবস্থা  হবে।
এত স্নেহ ভালোবাসা মায়া মততা তা একমিনিষেই শেষ হবে।
তা ভাবতে  কষ্ট  হলে ও এটাই বাস্তব।