চল না যাই আবার শহর ছেড়ে
বিকেলের শেষ ট্রেনে
কর্ণসুবর্ণের লাল পথ বেয়ে –
তাল গাছের আড়ালে হারিয়ে যাব
দূর গাঁয়ে
ভাববার কি আছে এতো ?
দুপুর গড়িয়েছে সবে
সময় যথেষ্ট বাকী এখনো যাবার
চল না আবার।
কি?
হৃদয়ে মরচে পড়েছে?
সূর্য ঠাণ্ডা হয়েছে বহুকাল?
মাঠে মাঠে ফণীমনসার ঝাড় গজিয়েছে ?
পোড় বাড়ির হাহাকার
মুগুর ভাঁজে হাড় কাঁপিয়ে বাতাসে ?
ভাবছ,
যাওয়া যাবে কি এই বিজনে
দুজনে ?
একি একটা প্রশ্ন !
সে সংশয় নিহত হয়েছে কবেই!
হ্রদয়টাকে ধুয়ে নেবে অশান্ত সমুদ্র তরঙ্গে
সূর্যে আগুন ধরাবে মশালে
পোড় বাড়িতে বিদ্যুৎ জ্বালবে
আর দুজনে
স্বর্গের দেবতাদের আহ্বান করব
এই অঙ্গনে।
জানি এবার তোমার মন টানছে
দূর গাঁয়ে
তাই হোক তবে
চল যাই হাতে হাত দুজনে
বুক ভরা নিঃশ্বাস নেব মুক্ত আকাশে।
গভীর রাতে আলো জ্বলবে আবার
উপর কোঠায়
চেনা চেনা হাত গুল মুষ্টিবদ্ধ হবে নতুন আবেগে
নোনতা চায়ে মেজাজি চুমুক
মাথার জট খুলবে
বিড়ির ধোঁয়ায় পরিকল্পনা পাকা হবে
রাত শেষে
অবশেষে,
নিশ্চিন্তে খড়ের গাঁদায় খানিক গড়িয়ে নিয়ে
সূর্য দেখব ভোরে
মাঠের ওপারে চিরুটি সীমান্তে।
তারপর অন্য কোন খানে
দূরে আরও দূরে
বাজার সাউ নয়ত হিজল বিলের ধারে ধারে
বাতাসে ঢেউ তুলব বার বার
চল না যাই
শহর ছেড়ে আবার।
----------
ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ইং