আমি এক সাধারন কবি,
লিখি কবিতা, লিখি ছড়া;
যখন ভালো লাগে যেটা।
প্রকাশকের ঘরে ঘুরেছি অনেক,
কখনো পেটের দায়ে,
কখনো পেনের টানে।
একটা কবিতা লিখলাম বটে;
মান হারানো মেয়ের সত্যি কাহিনী থেকে,
প্রকাশ পেল বই, পেলাম খ্যাতি অনেক।
উই-এ কাটা পড়ে থাকা লেখাগুলি,
খুঁজে নিল ওরা, ঘরে এসে পাণ্ডুলিপি।
বাজার দর পড়ল যখন!
বই, পাঠকে নয়; উইয়ে কাটে তখন।
হঠাৎ একদিন হ্যাংলা প্রকাশক-
ঘরে এল, চশমা তুলে;
চাইল লেখা দরদ দিয়ে।
লেখা পড়ে ভ্রু-কুঁচকে
নিচু গলায় বলল শেষে,
মশাই এ লেখা, বাজারে চলে?
মনের ভিতর হাজার প্রশ্ন,
মুখে বললাম শুধু -কেন?
আমার দিকে তাকিয়ে তার কৌতূহলী চোখ।
একটু নিশ্বাস ফেলে সে,
লিখুন না দাদা, ওই কথা-
যা ছেপে পেয়েছিলান খ্যতি,
কামদুনি এখনো জীবন্ত।
লিখে ফেলুন গুটি কয়েক লাইন তো-
মনে বলি, ওরে মূর্খ !
ওযে লেখা নয়, শুধুই রক্ত;
তুই কি বুঝবি, মান হারা মেয়ের কথা?
আজতো এটাই সমাজের বড় ব্যথা ।।
হারিয়েছে মান, হারিয়েছে প্রাণ-
তোর চোখে বাজার গরম;
আমার কাছে কামদুনির অপমান !!!!!