দুর্জয়কে জয় করার চিরন্তণ অভ্যেস যে আমার!
মানিনি আমি কোন শৃঙ্খল কোন যুগেই!
বিধি - নিষেধের বেড়াজাল রুখে দিতে পারেনি আমায়
তাদের লৌহকঠিন ব্যর্থ দৃঢ়তায়!
মানুষ রূপী পিশাচ গুলো আটকে রাখতে পারেনি
আমার দুর্নিবার পথচলা!
বীরত্বের স্বতঃস্ফূর্ত, অবিরাম অগ্নী জ্বলেছে দেহে সদা!
সুস্বাস্থ্যের শত নিয়ম কানুনকে অনর্থক মনে করে গেছি চিরদিন!
জগতের যত সংগ্রাম ছিল,  
সবগুলোতে হয়েছি দ্বিগ্বীজয়ী!
নরপশুদের রক্তে বীরগাঁথা রচনা করেছি কালের পৃষ্ঠায়!

কিন্তু জীবনের এবেলায় নিজের দেহে অজানা শত্রু ঢুকে পড়েছে!
তাদের দমন করার কৌশল আমার জানা নেই!
অদেখা শত্রুদের মোকাবিলা করার রণকৌশল আমার যে অজানা!
কিন্তু আমি আভিজাত্যের নরম ছোঁয়া নিয়ে
অসুস্থতার সঙ্গে সংগ্রাম করতে চাই না!

প্রিয়তমা!
আমার রুগ্ন দেহটিকে তুমি কি পারবে রাজ্যের বাইরে
দূর কোন অচেনা গাছের স্নেহমাখা ছায়ায় নিয়ে যেতে?
তুমি কি নিয়ে যাবে আমায় প্রকৃতির নির্মল আশ্রয়ে?
তুমি পারবে আমাকে নিয়ে যেতে সুশীতল বাতাসে?
আমাকে কোলে বসিয়ে তুমি কি আমার শ্রান্ত
আদিম দেহে কোমল পরশ বুলিয়ে দেবে?
তুমি শিশির সিক্ত পাতার শীতল পরশ
আমার রাজ কপালে লাগিয়ে দেবে?
তুমি দেবে আমায় শিশির ভেজা সুগন্ধী ফুলের শীতল ফোটা
আমার তেজ ফুরানো চৌকস চোখে?  
তারপর সেই ভেজা ফুলের নরম মসৃণ পাপড়ি গুলো আমার গালে বুলিয়ে দেবে?
আমার নাকের কাছে মেলে ধরে আমাকে সুঘ্রাণ নেবার সুযোগ করে দেবে?

তুমি কি আমায় ভালোবাসার আবেশে জড়িয়ে নেবে?
তুমি কি আমার নিষ্প্রাণ ঠোঁটে তোমার অমৃতের ধারা বইয়ে দেবে?
তুমি কি আমার ইস্পাত কঠিন বক্ষে মাথা রেখে আমায় জড়িয়ে নেবে?
আমি তোমার নরম স্তনের ছোঁয়ায় শিহরিত হবো!
তোমার চুলের পরলৌকীক সুবাসে ভুলে যাবো সব জরা-যন্ত্রণা!
তুমি কি পারবে তোমার নারীত্বের ঐশ্বরীক ক্ষমতা দিয়ে
আমার শরীরে বজ্রের অপরিণাম শক্তি ফিরিয়ে আনতে?
তুমি পারবে তোমার পরম যত্নমাখা মমতা দিয়ে
আমাকে সুস্থ করে তুলতে?
পারবে তুমি তোমার অসীম ভালোবাসা দিয়ে
আমার ফুরিয়ে যাওয়া শ্বৈর্যকে ফিরিয়ে আনতে?