শৈশবে জীবনের ঊষা লগ্নে,
যখন দুরন্তপনার উল্লাসে মেতে ওঠার অপূর্ব সময়,
ঠিক তখন দুঃখের প্রবল ঝড় আচমকা এসে যদি
জীবনের মৌলিক সব সুখ কেড়ে নিয়ে যায়,
তরুলতা সদৃশ কোমল জীবনের সামনে
শিকড় গজিয়ে ডালপালা মেলে দুঃখ যদি
প্রকান্ড বিষবৃক্ষ হয়ে দাঁড়ায়,
তবে কারো শক্তি কি আছে নিয়তিকে ফেরাবার?
না সে ক্ষমতা কারো নেই!
আমারও তাই ধ্বংস হয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় ছিলো না!
অতঃপর সবার মতো আমিও তো চেয়েছিলাম দুঃখকে জয় করতে!
পণ করেছিলাম দুঃখের বিরুদ্ধে বুক পেতে দাঁড়াবো।
আশার আলোকে, ভালো থাকার ইচ্ছেকে দৃঢ়তার তেজে রুপান্তরিত করে
প্রতিটি আঘাত সয়ে গড়ে তুলবো ইস্পাত কঠিন বলয়!
ভেবেছিলাম সে বলয় ভেদ করবার শক্তি থাকবে না কোন দুঃখের!
কিন্তু দুঃখকে যে আমি ভালো করে চিনতে পারিনি!
দুঃখ তো প্রতিটি বস্তুতে নিহিত থাকে!
প্রতিটি বিষয়ের অপর পিঠে আড়াল হয়ে আছে দুঃখ!
কেবল পৃষ্ঠদেশের আবর্তন ঘটতে দেরী!
দুঃখ আশ্চর্য প্রসারতায় ছড়িয়ে আছে জগতের সবকিছুতে!
একসময় দুঃখের স্তরে স্তরে বিলীন হতে হতে বুঝলাম
সবচেয়ে বড় দুঃখের আধার সে তো আপন হৃদয়!
হৃদয় যা চায় তা না পেলেও তো প্রচন্ড দুঃখ হয়!
হৃদয় যখন ভেঙ্গেচুরে অনেক টুকরো হয়
হৃদয় চিড়ে আর্তনাদ তখনও তো খুব হয়!
দুঃখকে তাই নিয়তি মেনে চলতে শুরু করলাম!
দুঃখ আমার নিত্য দিনের সঙ্গী বরণ করে নিলাম!