বার্ধক্য জীবনের বড় অদ্ভূত এক অধ্যায়!
শৈশব, কৌশোর, যৌবন পেরিয়ে এ সময়টা যখন উপস্থিত হয়
তখন মানুষ কেমন যেনো অন্য রকম স্বত্তায় পরিণত হয়!
অনেকটা দুর্বোধ্য, হতাশ আর অসহায় আকৃতি লাভ করে মানুষ!
দুর্বোধ্য হয়ে ওঠার প্রধান কারণ নিজেকে গুটিয়ে নেয়া!
সারাজীবনের লালিত ধ্যন- ধারণা ক্রমেই মিথ্যে মনে হতে থাকে!
একসময়কার তুখোর আড্ডাবাজ, সদা বিচরণশীল প্রাণচঞ্চল মানুষটি
আর আড্ডার আসরে ভিড় জমায় না!
কেনো যেনো তার অনিহা জন্মে যায় বহুদিনের পুরানো সঙ্গীদের প্রতি!
হতাশার গাঙে নিমজ্জিত হয়ে একাকীত্বে ভোগার সময়টাই যেনো বার্ধক্য!
আজন্ম লালিত বিশ্বাসে যৌবনের বার্ধ্যক্যে যে চিড় ধরে
সে চিড় ফাটলে রূপ নেয় বার্ধক্যে এসে।
জীবনে যা হয়ে গেছে ভুল, অপরিণামদর্শী আর অবিচার!
এতদিন পর তা আয়নার মতো পরিষ্কার হয়ে প্রতিভাত হয়!
ভুলগুলোকে স্বীকার করার পর মনের দুঃখগুলো বলার জন্যে
বার্ধ্যকের এ বেলায় খুঁজে পাওয়া যায় না কাছের কাউকেই!
বার্ধক্যের সান্নিধ্যে থাকতে চায় না যে কেউই!
সবাই নিজের ভুল করতে খুব ব্যতিব্যস্ত!
আবার ভুলের মাশুল গুণতে হয় বলে
সমস্ত আক্ষেপ খুব করে জড়িয়ে ফেলে জরাক্লিষ্ট হৃদয়কে!
বার্ধক্য তাই রূপ নেয় হতাশার ভারাক্রান্ত এক উপাখ্যানে!
জীবনের এ ক্রান্তিলগ্নে যখন শরীরে নিত্যনতুন ব্যধি বাসা বাঁধে
তখন আসন্ন মৃত্যু ভয় তাড়া করে বেড়ায় সারাক্ষণ!
সময় যে আর হাতে নেই, মৃত্যুর দিন ঘনিয়ে এলো বলে!
যৌবনের দৌড়াত্ন্যকে ভুলুণ্ঠিত করে গ্লানি, আক্ষেপ আর আতংক
ক্রমেই একে অপরকে জড়িয়ে বার্ধক্যকে করে তুলে বড্ড পীড়াময়