চারপাশে আমি কেবল ভালোবাসার কাঙাল দেখি!
প্রেম হারানো অবহেলিত পাখিগুলি
আজকাল যেনো ফিরে যেতে চায় পুরানো আশ্রয়ে!
অথচ আমাকে কেনো ছোঁয় না অদম্য, চেতনানাশক প্রেম?
আমি হৃদয় বিহীন বলেই?
আমার হৃদয়ের তিল তিল করে গড়ে তোলা ধ্বংসস্তুপটি
অমাবস্যার গহীন অন্ধকারে ঢেকে আছে বলে?
নাকি আমার ইচ্ছে জাগে না বলে?
আচ্ছা! আমি কি বড্ড খুঁতখুতে?
প্রেমের স্তরে স্তরে বেদনা জমে আছে জেনেই
কি বিচক্ষণের মতো আমি প্রেমকে এড়িয়ে যাই?
নাকি পূর্ণিমার জোছনা বিলাসী চাঁদ
আর আমাকে স্বপ্নবিলাসী করে তুলতে পারেনা বলেই
আমার এখন আর প্রেম জাগে না?
ভালোবাসায় আমি দুর্বার সুখ খুঁজে বেড়াই বলেই কি
অকস্মাৎ বেদনাহত হবার ভয়ে পিছিয়ে যাই?
নাকি চন্দ্রা!
আমাকে আর প্রেমের দেবতা
চিরন্তন প্রেম দেবার মন্ত্র খুঁজে পায় না?
ঝুলী কি তার তবে রিক্ত হলো আমারই তরে?
সন্যাসী হবার আকাঙ্খা তো নেই!
তবে কেনো সন্যাসব্রত আচরি ধর্ম হল?
হৃদয়ের কোন গতি নেই, নিথর, নিস্তব্ধ তার জানালাগুলো!
তাই কি আমি বোধহীন হয়ে পড়ে থাকি নিরালায়?
কামদেবতাও কি আজকাল তার কৌশল হারিয়ে চাকুরী খুইয়েছে নাকি?
বেকার সামন্ত হয়ে কি ঘুরে বেড়াচ্ছে আজকাল দেবালয়?
একটুও কি আছে বাকি তার কাছে
কামনার উত্তপ্ত লেলীহান অনল?
নাকি সেটাও আজ ম্লান
আমার একাকীত্বের কৃষ্ণগহ্বরের শীতলতার কাছে?
আহা! প্রেমের আকুতি কেনো অবেলায় হানা দেয় স্মৃতি হাতড়ে?
কেনো অসময়ে জীবনের ব্যর্থ চিত্রনাট্য নতুন করে লিখতে মন চায়?
নশ্বর জীবন যেখানে আজ অস্তমিত আভায় দ্যুতিহীন
তখন গ্রীষ্মের অশান্ত রাত্রীতে অতৃপ্ত আবেগের
অবোধ জিজ্ঞাসু হয়ে জেগে ওঠা সত্যিই বড় অর্থহীন!