শিফা চলনা আমরা এমন একটা সম্পর্কের জন্ম দেই যার কোনো নাম থাকবেনা,
থাকবেনা একে অন্যের প্রতি দোষারোপ,
ময়লা ঘাটা কাঁকের ডাকে নয়,
প্রতিদিন সকাল হবে আমাদের গুড মর্নিং বলার মধ্য দিয়ে,
তারপর সারাদিনে কমপক্ষে একশত বার স্ট্যাটাস দেয়ার মধ্য দিয়ে
আমাদের স্বপ্ন পুরনের খেলা, এস এম এস এর মাঝে আলতো ছুয়ে দেয়া,
প্রানের কথা, গানের কথা, গল্প বলা, কাব্য করা, কত না রঙ্গিন আলাপন।
দুজন দুজনের কাছা কাছি আসা, এগুলোর কিন্তু কোনো নাম থাকবেনা,

চলনা, শিফা আমরা এমন একটা স্বপ্ন দেখি, যা পুরনের কোনো ঝক্কি থাকবেনা,
রাশি রাশি স্বপ্ন হারিয়ে যাবে গল্পের সমুদ্রে।
কারো প্রতি ভালোবাসা দানা বেধে উঠবে না কোনোদিন,
কারো ভালো ঘুম হয়েছে কিনা চোখ দেখে বোঝার ঝামেলা থাকবেনা,
দুঃস্বপ্ন দেখে মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে গিয়ে ভয় পেলে
শক্ত করে বুকের সাথে চেপে ধরে, মাথায় আলতো হাত বুলিয়ে
ঘুম পারানোর কষ্ট থাকবেনা।

শিফা চলনা আমরা এমন এক পৃথিবী গড়ি,
যেখানে, কারও মন খারাপ হলে হাতের মুঠোই হাত রেখে
ফিসফিসিয়ে বলতে হবে না মন খারাপ কেন? আমি তো আছিই।
শীতের মধ্য রাতে ঘুমের মাঝে যদি শরীর থেকে কম্বলটা চুপিসারে নেমে যায়,
আবার তা গায়ে জড়িয়ে দেবার কষ্ট পোহাতে হবে না কারোর।

শিফা চল আমরা এমন এক গল্প লিখি,
যে গল্পে আমার বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় খাবার নিয়ে
পথ চেয়ে অপেক্ষা প্রহর গুনতে হবে না তোমাকে।
চোখের নিচের রাত্রি জাগরণের কলঙ্ক দেখে
আমাকে বলতে হবে না, তোমার শরীর এমন খারাপ দেখাচ্ছে কেন?
রাতে ভালো ঘুম হয়নি?
কাউকে খুশী করার জন্য থাকবেনা কোনো আয়োজনের বিশালতা,
কাউকে দিতে হবেনা বিলাসবহুল উপহার ।

চল শিফা আমরা এমন এক কাব্য লিখি, যেখানে ছন্দের ভালোবাসা পাবেনা ঠাই,
থাকবেনা রস, থাকবেনা রসিকতা।
যে কাব্যের চাঁদ কখনো ঝলসানো পোড়া রুটি মনে হবে না।
শুধু এস এম এস এর আদান প্রদান সকাল সন্ধ্যা রাতে,
হাত কাটলে ইমোজি, মাথা ব্যথার ইমোজি, কান্না পেলে ইমোজি,
মনের গভীরে জমে ওঠা আবেগ জানাতে কত রকমের ইমোজি।
নামের পাশে সবুজ বাতিটা দেখে বুঝে নেওয়া যে এখন আমরা জীবিত।

হঠাত একদিন নামের পাশের সবুজ বাতি জ্বলতে দেখা যাবে,
হয়তো কোনো বলশালী শরীর আদিম ক্ষুধায় পিষিয়ে দিচ্ছে
তোমার নরম শরীর, তুমি হয়তো উন্মত্ত আছো আদীম উন্মাদনায়
কারো গরম স্পর্শে হয়তো তুমি ক্ষণে ক্ষণে হচ্ছ শিহরিত,
বুকে জাগছে মাংসের ক্ষুধা।
আর কোনো ঘাতক ট্রাক আমার শরীরকে পিষিয়ে,
থেতলিয়ে, দুমড়ে মুচরে দিয়ে গেলো,
গুঁড়িয়ে দিয়ে গেলো আমার হেলমেট বিহীন মাথা,
আমি হয়তো একটু আগে বাইক অ্যাকসিডেন্টে
নিঃশেষ করে দিয়েছি শরীরের সব রক্ত,  
নিভিয়ে ফেলেছি জীবনের সবুজ বাতি।
এ নিয়ে কারো কোনো দুঃখ থাকবেনা।
আর হবেনা এস এম এস এর আদান প্রদান,
আর দেবে না কোনো ইমোজি।
মৃত্যুর কি কোনো ইমোজি হয়? আমার যানা নেই!