তোমাদের নগরীতে কি রাত্রি কেটেছে,
উঠেছে সকালের দীপ্তিময় সূর্য?
আমার নগরীতে রাত্রি, ঘন কালো!
টিয়ারসেলের ধোঁয়ায় আচ্ছাদিত শহরের গলিপথ;
রাজপথ, ফাকা ময়দান নিমজ্জিত শোণিতধারায়,
সবুজের গায়ে রুধির চাদর। বিজয়ের প্রদীপ্ত আলোকরশ্মি
বন্দী এখন অন্ধকার সেলে। অত্যাচারী নিশাচর দের চিৎকারে
কোটরে কোটরে ভীত ভোরের পাখিরা অনিচ্ছাকৃত বন্দী।
আমার নগরী এখন নিষিদ্ধ বারুদের গন্ধে,
অশুভ সন্ত্রাসের অস্ত্রের মুখে জিম্মি;
রাজনীতির নিকষ কালো সূর্যগ্রহণ লেগেছে আমার নগরীর আকাশে,
পরিচিত দানব গিলে খাচ্ছে আগামী সূর্যের তারুণ্যকে।
নগরপাল মেতেছে মোহন জুয়ার নাট্যশালায়।
প্রহরীরা প্রহর গুনছে ফলাফলের, কার ঝোলায় কয়টা লাশ!
মন্ত্রীর কালো মন্ত্রে, আত্মাহুতি দিচ্ছে অগণিত কোমল প্রান।
আমার নগরী এখন কালো যাদুর বিশাল মঞ্চ,
আলো হীন, প্রান হীন; এই নগরীর পথে পথে নরকঙ্কাল,
আর পদদলিত ফুলেদের আর্তনাদ। তবে মহাকাল আসছে
হে নগর বাসী। শ্মশানভূমি থেকে শ্মশান ভস্ম গায়ে মেখে,
মাথার খুলি দ্বারা ভূষিত, শবের উপর আসীন,ত্রিশূল,তলোয়ার,
আর খড়্গ হাতে আসছে সে, অশুভ অসুরদের বিলোপ সাধন করতে,
অনুকম্পা ছাড়াই পূর্ণ ধ্বংস দেখতে পারবে তোমরা নিজের চোখে।
তোমরা ভীত হইও না, ভীত হতে দেখবে এবার নিষিদ্ধ শাসক দের।