কেউ আপন ভাবেনি আমাকে, ৩৪ টা বসন্ত পেরিয়ে গেছে,
কতবার আপন হতে চেয়েছি কত জনের, মুখ ফিরিয়ে চলে গেছে।
কালো রাতের বুকে লাল আভা ছরিয়ে হয় সূর্যোদয়,
আমার কালো ঘুচলোনা কখনো।
মুখের সমস্ত দাঁত বের করে হেসেছি প্রতিবেশীর দিকে চেয়ে,
কেউ ফিরিয়ে দেয়নি নকল হাঁসিটুকুও।
কতবার হাঁসাতে চেয়েছি কতজন কে, কেউ হাসেনি,
হয়তো সরকারি নিষেধাজ্ঞা।
অন্ধকার গলির রাত জাগা কুত্তারা রক্ত চক্ষু দেখিয়ে শাসিয়েছে বহুবার,
অন্ধ ভিক্ষুক থালা সরিয়ে নিয়েছে কতবার,
ছুটন্ত কালো মেঘের দল ঢেকে দিয়েছে সাদা চাঁদ,
দেখা হয়নি আর। কারও খুশিতে হাঁসতে গেলে
দীর্ঘশ্বাস পাঁজর ভেঙ্গে দিয়েছে প্রতিবার,
অপমানের লাল শালু পরে যখন রাস্তায় করছি পদাঘাত,
আরও তীব্র অপমান ষাঁড় হয়ে ছুটে এসেছে, গুঁতিয়ে, পিষিয়ে,
রক্তাক্ত ফেলে গেছে আমাকে।
আক্ষেপ নেই এতটুকুও কারও জন্য, কিন্তু তুমি?
কি করলে আপন ভাবতে আমাকে?
একশ একটা শহর আর গ্রাম ঘুরে, তোমার জন্য
এনে দিয়েছি, তোমার একশ একটা পছন্দের সামগ্রী,
লাল নীল শহরের বুকে অস্ত্র ধরে ছিনিয়ে এনেছি তোমার
রঙ্গিন চাওয়া গুলোকে। আর কি করলে আপন হওয়া যায়?
তোমার জন্য সাঁতার না জেনেও এনে দিয়েছি মাঝ পুকুরের ভাসমান পদ্ম।
গাছের ডালে ঝুলে থাকা মৌচাক টাকে
এক টানে ছিরে নিয়ে এসে তোমার পায়ের কাছে ফেলেছি।
মৌমাছির বিষে নীল হয়ে একা ফিরেছি ঘরে।
আর কি করা যায় কারও আপন হবার জন্য?