রাত্রির অন্ধকার ছাড়া কেউ কোনদিন ভালোবাসার হাত প্রসারিত করেনি
আমার দিকে। প্রচন্ড একাকীত্বের ব্যাকুলতা  নিয়ে যখন চোখ তুলেছি
ঘোর অমানিশার আধারে প্রতিহত বার বার ফিরে এসেছে
নিজের নিঃসঙ্গতার চালা ঘরে। ঘুমের ঘোরে যখন হাতরে খুঁজতাম
প্রিয় মানুষটিকে, নীরবতার হিমেল স্পর্শে ঘুম ভেঙ্গে যায়।
কংক্রিটের এই শহরে নিকোটিনে ধূমায়িত আকাশের দিকে
যখন তাকাতাম এক বুক একাকীত্ব নিয়ে। কালো মেঘ যন্ত্রণার আচ্ছাদনে
ঢেকে দিতো মলিন চাঁদকে। কথা বলার প্রচন্ডতা নিয়ে যখন খুঁজতাম
প্রিয় কোন মুখ অশরীরী একাকীত্বরা এসে হানা দিত মনের অন্ধকার ঘরে।
শুনশান নীরবতায় যখন প্রিয় মুখটির ছবি আঁকতে গিয়েছি অদৃষ্টের ক্যানভাসে,
লাল রং কালো হয়ে যায়। জ্বরের তীব্র দহনে যখন পুরতো
শরীর, শুকিয়ে যেতো কন্ঠ নালী, এক ফোটা সহমর্মিতার জন্য
হৃদয় যখন চাতক পাখী, কেউ আসেনি, পাশে বসেনি কেউ।
আমার কেউ নেই, আমি একা, কেউ ছিলনা কোনোদিন,
মাথার উপরের মৃদু পায়ে হেঁটে যাওয়া চাঁদ, শেষ রাতের নিরবতা,
শিশিরের ঝরে পড়া প্রথম বিন্দু, রাত জাগা নিশাচর পাখী,
কেউ আমাকে চায়নি কোনোদিন। কেউ আমাকে চায়নি কখনো।
আমি নিঃসঙ্গ এক তপস্যি, আজন্ম হেঁটে চলেছি এক পৃথিবী একাকীত্ব নিয়ে।