প্রিয় মেঘ, তোমাকে দেখেছি কবে, সেই কবে,
কোন বুধবার, আর ২২ কোটি বছর হলো তোমাকে দেখিনা।
তোমাকে বলেছিলাম তুমি আমার অভ্যাস,
তোমাকে ভোলার সাহস আমার নেই,
বিশ্বাস করো ভুলিনি এখনও।
আমার স্মৃতির দেয়ালে তোমার মুখচ্ছবি আল্পনা আঁকা।
আমি জানি কোনো ভোরের প্রথম আলোয় কিংবা সন্ধ্যার
শেষ সূর্যাস্তের বেলায় তুমি ফিরে আসবে না।
তবু আশায় গা এলিয়ে দেই, যদি কখনো
আমার অপরাধের চেয়ে ভালোবাসার তীব্রতা বেশী হয়,
আর তুমি ফিরে আসো রাত্রির শেষ ট্রেনে!
আমার অপেক্ষার নিশি ভিজবেনা জানি কখনো ঊষার স্নিগ্ধ শিশিরে,
তবু প্রতীক্ষার দ্বিপ জ্বেলে দেখি তোমার চলে যাওয়ার পথের দিকে,
উৎকর্ণ বসে থাকি একটি পদ শব্দের ব্যাকুলতায়।
শুকনো গাছের মতো, সবুজের সান্নিধ্য পাবনা জেনেও
ঠায় দাঁড়িয়ে থাকি। আমি স্বীকার করি, আমার ভুলটা ছিলো যথেষ্ট,
তোমার চলে যাবার জন্য। কিন্তু তুমি কি অস্বীকার করতে পারবে,
আমার ভালোবাসার তীব্রতাকে। অনেক গভীর ভাবে পেয়েছিলাম
তোমাকে হারিয়েওছি অনেক গভীর ভাবে,
কিন্তু হারানোটাই আজ আমার হয়ে থাকলো,
ঠিক যেন সর্বস্ব হারিয়ে জুয়াড়ীর ঘরে ফেরা।
অভিযোগের থালা রিক্ত আমার, শুধু অপেক্ষার ঝুলি কাঁধে ঘুরছি।
শত প্রজন্ম কাল হারিয়ে যাবে মহাকালের গর্তে,
আমি অপেক্ষা কাঁধে ঘুরবো! ঘুরছি! ঘুরতেই থাকবো!
অপেক্ষার এই নির্বাসন শেষ হলে বলে দিও,
এখনও কিছু ভালোবাসা মজুদ আছে, তোমাকে দেবার।
ভালো থেকো মেঘ, নিজের খেয়াল রেখো,
আর খুশী হলে বৃষ্টি হয়ে ঝোরও।