হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী তুমি,
কালজয়ী ইতিহাস তোমার গগণচুম্বি।
বিশ্বের বুকে একেছ পদচিহ্ন তোমার;
তুমি বিশ্বলোকের মানসপটের ছবি,
তুমি রাজনীতির মহাকবি।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা তুমি,
বাঙালা থেকে বাংলাদেশ-এর কবি।
বাঙালীর স্বাধীনতার রুপকার তুমি;
তোমার আহ্বানে সাত কোটি বাঙালীর প্রাণের দাবি-
বজ্রকন্ঠে বেরোল মহান পুরুষের, "স্বাধীনতার বাণী।"
আবেগে, ভাষণে, দিক নির্দেশনায়
সাহিত্যের সরস রচনায়,
অনবদ্য, বিশ্বসেরা সে ভাষণ-
প্রাণবন্ত কথার গাথুনিমালায়,
মহাকবিও খাবি খায়।
অসাধারণ বাচনভঙ্গি তোমার,
বলিষ্ঠ সে কন্ঠস্বর,
এক ডাকে তাই দশ লক্ষ জনতার সমাগম-
বাঙালী পেল সেথা অমৃতের স্বাদ,
সাত কোটি জনতার ভেঙ্গে গেল ধৈর্যের বাঁধ।
" এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।
এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।"
-- বিশ্বনেতার উদ্বাত্ব আহ্বান-
ইতিহাস তোমায় রাখবে স্মরণ শেখ মুজিবুর রহমান।
প্রবাদ পুরুষের স্বাধীনতার ডাকে,
সাড়া দিল বাঙালী ঝাঁকে ঝাঁকে।
রক্ত ঝরাল, জীবন দিল, বরণ করে নিল মরণের স্বাদ;
সয়ে নিল পাশবিকতার চরম সীমা,
নৃশংস পশুর অত্যাচার, মর্মযন্ত্রণা।
করেনি দ্বিধা , বাঙালীর পিতা,
অটুট আত্মপ্রত্যয়ী নেতা।
দিক নির্দেশনা তোমার হয়নি বৃথা,
ছিনিয়ে এনেছে বাঙালীর স্বাধীনতা।
তোমায় ভুলেনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি ধূলিকণা,
তোমায় ভুলেনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের প্রতিটি রক্তের ফোঁটা;
তোমার কৃর্তির ফর্দি আজি রয়েছে সেথা জমা।
তোমার প্রতি ফোঁটা রক্ত বাঙালীর আমৃত্যু ঋণ,
প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তারা ভুলবে না কোনো দিন।
তোমার শোকে আজি বাংলার আকাশে নামে কালো ছায়া,
বাংলার মাটিতে বিলাপ করে দুঃখের কায়া।
তোমার শোকে আজি বাংলার বায়ু করে নিনাদ;
তোমার অনুভব আজি বাঙ্গালীর শিরা-উপশিরায়,
কৃর্তিতে তুমি অদ্বিতীয়, নেই কোনো বিবাদ।
বাঙালীর রক্ত হতে তোমায় ছিন্ন করা দুষ্কর,
কৃর্তিময় জীবন তোমার এক বিশ্ববিদ্যালয়, চির ভাস্বর।
তোমার পথেই আজি বাঙ্গালীর পথ চলা,
তোমার সাহসিকতায় আজি বাঙ্গালীর কথা বলা।
আমি হাজার বছরের ইতিহাস পড়েছি-
পাইনি খোঁজে তোমার মতো-
বলিষ্ঠ নের্তৃত্বের অধিকারী,
অসীম সাহসী, সুপুরুষ কোনো।
তুমি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী,
তুমি রাজনীতির মহাকবি।
তুমি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ কৃর্তিমান,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
@@@@@@@@
রচনাকালঃ ২০/০৭/২০১৬ ইং (বুধবার ) স্কুলে বসে।