বলতে চাইলেও যায় না বলা ,
অন্তরে অন্তরে শুধু বেদনা ,
বেদনায় বেদনায় বেড়ে যায় বিরহের যন্ত্রণা ;
হৃদয়ে জ্বলে আগুন হৃদয় পুড়ে যায় ,
সাধ্য আছে কার সে আগুন নিভায়?
জল দিলে নিভে আগুন
স্বান্তনাতে এ আগুন কেন জ্বলে দ্বিগুন?

অপ্রকাশ্যের এ জ্বালা বুঝানো দায় ,
হৃদয় পাতার কোণে রয়ে যায়।
মুখে নেই হাসি ভাব আছে শুধু কান্না কান্না ,
চোখে নেই কোনো পানি , তবুও এ কেমন কান্না?
এ যে বিরহ-জ্বালা-যন্ত্রণা।

দেহিক সকল আঘাতই সহ্য করা যায় ,
হৃদয়ের এ আঘাত অসহ্য হয়ে দাঁড়ায়।

যার ভিতর আছে বিরহের বেদনা ,
সেই বুঝতে পারে এ কেমন যন্ত্রণা।
                      @@@
রচনাকাল: ১৭.১০.১৯৯৯ ইং (রবি বার)
কবিতাটি নোয়াখালীর চোমুহনী থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পূর্বশিখা পত্রিকার ৯ম বর্ষের ৭ম সংখ্যায় পূর্ব প্রকাশিত। কবিতাটি কবি নবম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালীন রচনা করেন।