"কিসের এত অহংকার তোমার?
গাড়ীতে চড়ার ক্ষমতা আছে তোমার!
বাড়ীতে পাকা ঘর আছে তোমার!
ক্ষমতাবান মামা-চাচা আছে তোমার!
তুমি চাইলেই পড়াতে পারো-
হাতকড়া সবার হাতে!
অসীম সাহস তোমার বুকে!
দুর্দম শক্তি তোমার গাঁয়ে!
তোমাকে কুর্নিশ করে অত্যাচারী,পাপী,
সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্টকারী সবি।
তোমাকে সম্মুখ-সম্মানে সুবিধাভোগীরা অস্থির হয়ে উঠে-
হৃদয়ে তোমার পুলক জাগে অতিথী সম্মানে,
তুমি আত্মহংকারে- রাস্তায় চলো বীরদর্পে,
তুমি নিজেকে ভাবো শ্রেষ্ঠ অতি।"
সস্তা সম্মানাকাঙ্ক্ষী তুমি,ধূলিসাৎ করো আত্মমর্যাদা!
তোমাতে দেখি তোষামোদপ্রিয় ব্যক্তিত্বহীন এক জীবের ছবি।
আমি ঘৃণা করি তোমায়... ..
বলি,কিসের এত মোহ তোমার?
তুমি বিশ্বাস করো আর নাই করো!আমি বিশ্বাস করি-
চোখের পলকেই ধূলিসাৎ হয়ে যেতে পারে-
তোমার সকল সম্পদ- বাড়ী,গাড়ী,আভিজাত্যের অহংকার...।
তাহলে কিসের এত দাম্ভিকতা তোমার?
কেন তুমি সৃষ্টি করে চলো শ্রেণি ভেদাভেদ?
কেন তুমি গড়ে তোল ধনী-গরিব বিভেদ?
কিসের অহংকারে করো অন্যের অধিকার ছেদ?
বল!..বল!...বল!....কিসের অহংকারে???
তুমি কি ভুলে গেছ,অতীত তোমার?
শুননি সে কথা,যে কথা বলে সবাই-
"সেদিনগুলোতো বেশি দূরে নয়,
যখন তোমার পিতৃমহ ঘুরে বেড়াত দ্বারে দ্বারে-
এক বাটি ভাতের ফেনের আশায়।"
এমনও অভাবে সংসার কেটেছে যার,
কি করে বল আজ রাজবংশ তোমার!
ইতিহাস ভুলে,রাজবংশের দোহাই দিয়ে-
নিচে রাখতে চাও বন্ধু-বান্ধব,অসহায়কে?
কোথায় ছিল তোমার আভিজাত্য?-
'থালা হাতে পিতৃমহ যখন খাবারের অন্বেষণে-
ঘুরে বেড়াত দ্বারে দ্বারে,'
আজ কেন আভিজাত্যের অহংকার দেখাও সবারে?
আমি ঘৃণা করি- তোমার আভিজাত্যের অহংকারকে।
ধনী-গরিব-ফকির সবি- এক উদ্দেশ্যে একই স্রষ্টার সৃষ্টি,
পার্থক্য কেন কর? ভুলে তাঁর তুষ্টি!
কে কি ছিল সে বড় নয়,
আসল রাজা সে,যে মনেতে রাজা হয়।
আমি ঘৃণা করি তোমায়-
কারণ- বংশ গৌরব,আভিজাত্য সে ক্ষণিকের পরিচয়;
জগতে সে-ই সবচেয়ে বড় হয়,
যার মধ্যে আছে মনুষ্যত্বের পরিচয়।
@@@
রচনাকাল:১৪।০৫।২০১১ইং (শনিবার),সিলেট।