ধরণীর আলোয় প্রথম যেদিন এলাম-
কেঁদেছিলাম আমি,হেসে ছিলে তুমি।
নতুন অতিথির আগমনে-
ভরে ছিল মায়ের কোল;
তোমাদের স্বযতনে,
ভালবাসার টানে,
শেখালে তোমাদের বোল।
আচার-আচরণ,
জ্ঞান-বিজ্ঞান,
ভাল-মন্দ- শেখালে এ পৃথিবীর সব আয়োজন,
আমি গর্বিত,আজ আমি এই পৃথিবীর-ই একজন
তোমারি কারণে-।
তোমার গুণে আজ প্রভাবিত আমি,
তোমারি বংশ-জাত-ধর্মের ধারক-বাহক আমি।
আজ আমাতে অর্ন্তনিহিত তোমার-ই পরিচয়-
তোমারি অস্তিত্ব।
তোমার রক্ত আমার শিরা-উপশিরায় ধাবমান,
তোমারি শৌর্য-বীর্যে আজ আমি প্রবাহমান।
এমনিক্ষণে তুমি কোথায় হারালে, বাবা?
আমায় করে একা... ..
আজ আমার নয়ন,আমার অন্তর,
খুঁজে ফিরে তোমায় নিরন্তর;
তোমার শয়নকক্ষে,তোমারি বিছানায়,
অনুভব করি তোমার সরল আনাগোনায়;
উপলব্ধি করি তোমার কণ্ঠস্বর,তোমার স্পর্শ,
হৃদয়ে ব্যঞ্জনা দেয় তোমার বচন,
তোমার সুখ-দুঃখের অনুভূতিগুলো;
তোমায় অকালে হারানোর ব্যথা,
তোমার স্মৃতির ব্যাকুলতায়-
খুঁজে ফিরি তোমায় গভীর মমতায়
বাবা,তুমি হারালে কোথায়?

কিভাবে ঘুমিয়ে আছ তুমি মাটির কবরে?
আমায় কি তোমার পড়ে না মনে!
তোমার স্মৃতিতে আজ কাতর আমি,
কি বলে,তুমি চলে গেলে আমায় ছেড়ে?
আজ আর পাই না তোমার সোহাগ,
পাই না তোমার কঠোর শাসন,
আমায় দেয় না কেউ দিক নির্দেশনা,
আজ ভুল করলেও আমায় কেউ করে না মানা;
আজ আমার চরম স্বাধীনতা
তুমিহীনা তবুও আমি শান্তি পাই না,
চারদিকেতে আটকানো সীমানা।
তুমি ছাড়া সংসারেতে অপূরণ শূন্যতা,
তোমায় হেরে এ জগতে পরম বিড়ম্বনা।
না ফেরার দেশে তুমি কেমন আছ বাবা?
কষ্ট হলে স্বপ্নে তুমি আমায় দিও দেখা।
নিশ্চয়ই খোদা তোমার প্রতি মেহেরবান,
তোমার কবর হউক জান্নাতের বাগান।
      @@@
রচনাকাল:২৮।০১।২০১১ইং
(শুক্রবার),সিলেট।