মনে পড়ে গেল শৈশবের মধুর স্মৃতিগুলি,
জীবনের সোনালী দিনগুলি কী করে ভুলি?
যান্ত্রিক জীবনে নিত্য ব্যথা উপশমে,
সে স্মৃতিগুলি কতই না ভুমিকা রাখে।
গোল্লাছুট, হা-ডু-ডু, দাপাদাপি,
দাঁড়িয়াবান্দা, কানামাছি, বউছি,
সাঁতার, লাই, লুকোচুরি
আরো কত কী যে খেলেছি!
আজো তার রেশ কী ভুলতে পেরেছি?
মনে পড়ে ক্ষণে ক্ষণে সেদিনের দিনগুলি।
কিশোরের কথাগুলি মনে পড়ে শতবার,
কত আমোদ, কত ঝগড়া-বিবাদ যার,
আজো মিটাতে পেরেছি কী আকুতি তার,
স্বপ্নেতে আজো হারাই কতবার!
পুতুলের বিয়েতে গিয়ে কী ঝগড়াটাই বাঁধাই,
বরপক্ষ-কনেপক্ষ উভয়কেই কাঁদাই।
শেষে হলো মজা ঢের,
মিলেমিশে গেলো সবে ফের।
এ মজা কী আর পাওয়া যায় কোথাও,
আধুনিক এ যুগে সবি হলো উধাও।
এ বাড়ি ও বাড়ির মুঠি মুঠি চালে,
খেলেছি টোলাভাতি- আজো মন কাড়ে।
চৈত্রের দুপুরে মাঠ-ঘাট খাঁ খাঁ,
ফসলের ক্ষেতে বড় বড় ফাঁকা।
বৃষ্টির তরে আয়োজন হলো তাই- ব্যাঙের বিয়ে,
উলঙ্গ একদল ছেলে কূলা ও চালনী নিয়ে,
বেরোল মিছিলে মনোহর ছন্দ ও স্লোগানে।
চাল-ডাল যা কিছু হলো পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে,
সন্ধ্যার পরে ব্যয় হলো- ব্যাঙের বিয়েতে।
বিয়ে হলে শেষ, গেইট ও কুঞ্জের থাকল না লেশ,
বৃষ্টির দেখা হলো রাত হলে শেষ;
নিখাঁদ আনন্দের সে দিনগুলিতে জীবন ছিল বেশ।
সে আনন্দ কী আজ মিলে কোনো রত্নে!
কী সুখ ছিল হারানো সে দিনে খুঁজি খুব যত্নে।
মনে পড়ে গেল শৈশবের মধুর স্মৃতিগুলি,
জীবনের সোনালী দিনগুলি কী করে ভুলি?
@@@
রচনাকালঃ ০১/০৭/১৭ইং,শনিবার, ফকিরের বাজার, নেত্রকোনা।