জমন দুক্ষিনি মায়ের কথা বলতে চেয়েছি বারে বারে
তব স্তন সুধা পান করেই বেঁচেছি যে এ জগৎ সংসারে ,
দিবা রাত্রি হেসে গিয়েছে এসে এথায় জীবন পারাবারে !
মিছে মিছি মন কেমন এখনও ঘিরে ধরেনি আমারে ।
লাঞ্ছনা , বঞ্চনা , বিপন্নতা , না দেখা আলোকে ফিরে ,
খামের ভিতরই জমে থাকা বিষাদ গল্পে কে বন্দি করে ?
নৈঃশব্দ্যে চিরায়ত ধ্যানমগ্ন থেকে ইচ্ছে হয় - পালানোর
ঘুমভাঙা সূর্য্যের আলোয় দেখে , আমিও যাই মেঘ হয়ে !
সেই আমিই তো তোমায় চিনেছিলাম প্রথম ইশারায় ,
এই রূপসী বাংলায় !
দেখেছি মেসিডোনিয়ান গোলাপ কুঁড়ি পথের শিশু কুড়ায়
দেখেছি এদেশের জ্যোতি , নির্ভয়ারা বিদেশে প্রাণ হারায় !
আমি দেখেছি গৃহ হতে গৃহবধূ , পতিতা হতে পতিতালয়
তবু আসমুদ্র হিমাচলে গঙ্গা , যমুনার , স্বরস্বতীর জয় !
কারা যেন লিখেছিল
দ্রৌপদী , রাধা , সীতা , মীরার উত্থান
আজ ভাঙ্গে বুক , পুরুষই করে নারীর সন্মান যখন ম্লান ।
শুনেছিলাম ধর্মের পথে প্রথম নারীই এনেছিল ঈমান ,
জেনেছিলাম নারী খাদিজা ছিলেন বিশ্বে প্রথম মুসলমান ।
তবু জগৎ সভায় আজ হয় নারী বিদ্রুপের খোরাক সমান !
পুরুষের কারনে নারীরা বদলেছে যুগে যুগে শত শত !
না , কি - নারী বদলেছে নিজের কারনেই অবিরত ?
বন্ধু , আমি বন্দি হয়েছি ভাবনার দেশে প্রতি প্রাতে
বিনিদ্র হয়ে ঘামেতে ভিজেছি উত্তর বিহীন প্রতি রাতে !
আমরা তো চিরকালের সাধরণ লোক
চাই খরার প্রতিরাতে আমার ঘরেই কেবল বৃষ্টি হোক ,
ও পাড়ায় ধর্ষিত তুষ্টির মেয়ে , তাই ওখানে শোক ।
সেদিনও ছিলো ভয় , যদি কোন ক্ষতি হয়
ভেঙে দাও যৌনকাতর পুরুষতন্ত্রের শরীরী সে জয় ,
আবার পুরুষ ভালোবাসে - এ বিশ্ব নারী পুরুষের সমন্বয় ।
অশেষ বাসনার ফল
ভালোবাসা ও ভালোবাসা আজও পাই না অতল
থামিয়ে দিও না , শিখিয়ে দাও আমায় - থাক নিত্যচলাচল
সাম্যের পথে হাঁটি দেখি হে নারী - তুমিই যে অটুট অটল ।
তোমার জীবন কাহিনীর সুবাসে
ক্যমেরা তাক করে , প্রচ্ছদ হবে - নারীই যে আকর্ষণ !
ধিরে ধিরে এগিয়ে আসছে এদিকে জীবনসায়াহ্নের ক্ষণ
কোথায় লুকিয়ে রাখবো তোমায় - তুমিই যে আপনজন ।
দাসী নও , কেবল নারী নও , আমার ভালোবাসার মন
লুকিয়ে রাখা যায় কি ? যদি সকলে জেনে যায় , তখন !
আত্মপ্রত্যয়ী চোখে মুখে থাক বুদ্ধি , সাহস , তেজ
কুৎসিত মাতাল - ধর্ষক পুরুষের দল গুটিয়ে নেবে লেজ ,
ইচ্ছে করলেই সব না পাওয়া যেতে পারে হয়তো আজ
প্রতিকারহীন , বিচারহীন , শাস্তিহীন পশুর থাকেনা লাজ ।
তুমিই সেই নারী কখনো কুন্তী কখনো নুসরতের বেশে
তুমিই সেই নারী হয়েছ শকুন্তলা - দুষ্মন্তকে ভালোবেসে ,
প্রগতি , উন্নতি , সভ্যতা আজো নদী হয়ে তোমাতে মেশে ।
সেই নারী তোমাকে বিক্রি হতে হয় পুরুষের কামনাতে !
সেই নারী তোমার তুলনা হয় ফুটন্ত গোলাপের সাথে !
ভুলিনি মধুর কণ্ঠস্বর সাথে আনন্দিত বাণী , এ প্রভাতে ।
আমাকে যন্ত্রণা দেয় , তোমার কথা যখন খবরে ভাসে
যন্ত্রণা দেয় , তোমার সঙ্গীরা তোমাকে নিয়ে বিদ্রুপে হাসে ।
কতো যন্ত্রণা সহ্য করে বলেছিলে চাইনা প্রণয় চাইনা স্পর্শ
একটা সময়ের নাম হলো পরিমনি সে না হোক ভারতবর্ষ ।
হয়তো আমি আলোকবর্ষ দুরে এক পাগলের বেসে
রবীন্দ্রনাথ , রামকিঙ্কর ,ঋত্তিকের এই দেশে
ডানা মেলা একটি মেয়ে পাখি এ বুকের ভিতরেও হাসে ।
এ বাস্তবতা , কল্পনা আর অনুভবের প্রতিচ্ছবিতে নাচা ,
উপাদান মানে মানব জীবন আর চোখের নেশায় বাঁচা ,
তায় তৈরি মানবজমিন চাষের লাগি বীজ বুনছে চাষা ।
বাইরে আঁধার ফুলের গন্ধ আমার চারপাশ পুঁথিতে পূর্ণ ,
সামনে একা দাঁড়িয়ে আমি , বেদিতে উলঙ্গ ভগবান !
রাত নামে নতজানু হই কেবল করজোড়ে করি আহ্বান ,
মাটির প্রদীপ জ্বলে চৌদিকে হে - নারী তুমি হও মূর্তিমান ।