নৈরাশ্যের অবসাদ থেকে মুক্তি চাই
রাজনৈতিক জেলেরা মানবসাগরে নামে,
হঠাৎ কিছু যুবতী তাদের মেয়েবেলা হারিয়ে ফেলে।
দুঃসাহসের আগুন জ্বালিয়ে কিছু ছেলে নৌকা বায়,
হারিয়ে ফেলি নিজেকে - কবির কলম খোয়া যায়,
নতুনের জন্ম - কৃত্তিম সভ্যতার আঙিনায়।
আমিও আগুন পাখির গান শুনি - বড্ড
চাটুকারিতাই সফলতার প্রথম ধাপ - পাঠ্য
তারপর , তারপর তারস্বরে কেবল চিৎকার,
আর, আর বইয়ের পাতায় পাতায় খুঁজি
কোথায় লুকিয়ে আছো তুমি?
হে আমার ঈশ্বর! রক্তাক্ত কি হয় তোমারও হৃদয়?
হে মহাশিল্পী - এ তোমার পবিত্র জগৎ সংসার
মহাকর্ষ, শক্তি উৎস, আমার বাধ্যকতা
গ্রামে - গঞ্জে, নগরে - বন্দরে কেবল ব্যর্থতা,
অনৈতিহাসিক হওয়া আজও উড়িয়ে নেয়
দুরন্ত কিশোরীর গোলাপি রুমাল,
নবান্নের ঘ্রান আর নদী তীরের পড়ন্ত বিকেল।
আমিও বিজ্ঞাপনে তোমার ঠোঁটে আঙ্গুল বোলাবো
আমিও পানীয় বোতলে চুমু খাবো,
আমি পারবোনা হতে লুঠেরাদের দালাল
আমি পারবোনা দেখতে ঘাসের ডগায় রক্ত লাল,
মন্দির মসজিদ গির্জা নিয়ে করিনি নাচানাচি
আমি তোমায় দেখবো বলে দুচোখ বুজে আছি।
একদিন দিন ফুরালে আমিও বিদায় নেবো
সেদিনও হয়তো কথা থাকবে অনেক বাকি
নয়তো বা কেউই কথা বলবে না আর!
তবুও বিদায় বেলায় তারাদের বুকে কাটবো আকি বুকি,
রাত্রি শেষে পাখির কলতানে সেদিনও ভোর হবে
নবজাতক মাতৃ ক্রোড়ে দেখবে দুচোখ মেলে।
রাজনৈতিক কারনে আয়নায় মুখ দেখতে নেই,
বাকযুদ্ধ সোশ্যাল মিডিয়ার ডিবেট পাড়ায়
প্রজাতি আহা - প্রগতিশীল প্রতিক্রিয়া দিতে দিতে,
মাথা ফাটে প্রতিবাদী জননীর - নারী নির্যাতন হয়না
নেতা সিগারেটে আগুন জ্বালায়, কাটেন ফিতে
কর্মীর লাশ গুম হয় - শ্মশান - কবর টাও তো পায়না।
আমি গোলাপ পাঁপড়ির শিশির বিন্দু দেখিনি
দেখিনি পদ্ম পাতার জল, সে কথা তো ঠিক নয়
জয় করতে পারিনি তাই, বদলে ফেলেছি সে ভয়
নিঃশ্বাসের থেকেও যা কিছু আজ প্রয়োজন মনে হয়
হে আমার ভগবান - তোমাকে কি করে করবো জয়?
লাগে ভয়, লাগে ভয়, লাগে ভয়।
যদি আবার কখনো এভাবে বন্দরে দেখা হয়
রক্তিম গোধূলির আগে বানের স্রোতের গঙ্গায়।
সকালে কলমি লতার ক্ষেতে কিংবা দূর্বার ডগায়
মুক্তি চাই - মুক্তি, বয়ে চলে সময় বছর বছর ধরে!
আমার একবিন্দু চোখের জল, রেখেছি যত্ন করে
সেদিনও ভিজিয়ে নিও, বর্ষাও থাকে যেমন ভরসা স্রোতে ।
আমিও যাবো না, যাবো না ফিরে,
বৃষ্টির আড়ালে, রোদের আড়ালে কিংবা নদীর ওই বুকে
কৈশোর, যৌবন কিংবা বার্ধক্যের রঙিন বিকেলে,
আজ নেই কোনো স্বপ্নে ডোবার আকাশ
লাল মদ - না চাইতে পারা বিপ্লব
আমিও অবসর নেবো, শেষে ছন্দপতনের ঘুম।
আমার অতীত জীবনের অনেক রক্ত লেগে আছে
দেখো তোমার জামায়, তোমার অন্তরবাসে
জানেনা কি চাঁদ? তাকে আমিও ধূসর দেখিনি,
মৃত্যুর শান্তি নেই, আহরহ সে নির্মম যন্ত্রনা
অসহায় একা একাই দাড়িয়ে থাকে কারাগার,
যন্ত্রনাহীন একটা মুক্তির নিঃশ্বাস তোমাকে দিলাম।