তুমি কার, আমি কার?
চারিদিকে হাহাকার - রাজাকার রাজাকার!
বিশ্ময় জাগে স্পর্ধায় উন্নত
শত শত শির হয় নাকো অবনত!
দাবি দাওয়া আজ ন্যায় না অসংগত?
পড়ে থাকে পিছে আন্দোলনে রত,
পথের পাশে পড়ে থাকা নিথর পাথর দেহ!
মায়ের বুকে যে শূন্যতা জাগে - বুঝে কি তা কেহ?
আমিও যে এই বিশ্ব মাতার সন্তান
আমিও সে ভূমি খুঁজি অমরন।
যেথা সদা জাগ্রত জনগণ অধিকার অর্জনে
আমারও এই দেশের সুখের লাগি কাঁদে প্রাণ মন।
তুমি কি বিচ্ছিন্নতাকামি?
ধর্মে বর্ণে করিতেছ মানব জাতি কে পশ্চাদ্গামী!
ওরা যে আমারই ভাই দেশের ছাত্রদল,
ওদের প্রাণের দামে করিবে রাজনীতি - হায় মূর্খামি!
সাজিতে নেতার দল মানুষ লেলিয়ে!
হিংসা আর ঘৃণা ছড়িয়ে থামিয়েছ প্রাণের কোলাহল।
ভুলো নাকো তাদের যারা দিয়ে গেছে প্রাণ বলিদান,
যাদের রক্তে ভেজা পথে তোমরা স্বাধীন সংগ্রামী।
জানিনা বাঙালি তোমাকে আর কতটা মরিতে হবে?
শরম জাগিবে নিশ্চিত যখন নিদ্রা ভঙ্গ হবে।
দাবি দাওয়া থাকুক,থাকুক চাওয়া পাওয়া ফলাফল,
প্রাণের মূল্য অসীম, হতে দিওনা নিষ্ফল।
তুমি বিপ্লবী কবির উন্নত তব শির,
তুমি প্লাবন - পদ্মা মেঘনা যমুনা জলঙ্গির।
তুমি ভাষা শহীদের উত্তর পুরুষ,
ছিলে অধিকার অর্জনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বীর।